প্রতিদিন মিষ্টি বানিয়ে রোজগার করে চলেছেন ৯৪ বছর বয়সী এই ঠাকুমা
এই কথা শুনে আপনি মনে মনে গাইতেই পারেন ‘কে বলে ঠাকুমা তোমার বয়স পেরিয়ে গেছে ৮০’। বয়স ৯০ বছর, এত বছর বয়সে চণ্ডীগড়ের এক ঠাকুমা তার ব্যবসা শুরু করেছেন ব্যবসা শুরু করেছেন ‘বেসনের বরফি’ বানিয়ে। চণ্ডীগড়ের এই ঠাকুরমার নাম হারবাজান কাউর। তিনি একদিন তার মেয়ের সঙ্গে বসে ছিলেন। মেয়েটাকে প্রশ্ন করেছিল মা তোমার জীবনে এমন কোন না হওয়া ঘটনা আছে? যার জন্য তোমার আফসোস হয়। তার মা জানান, “আমার জীবনটা একেবারে পরিপূর্ণ। একটা জায়গাতেই আফসোস হয় যে, আমি নিজে কোন রোজগার করতে পারলাম না। ইচ্ছা করে যদি করতে পারতাম।” এই কথাটা পরিবারে বেশ আলোচিত হতে শুরু করল।
হরভজন সুন্দর করে বানাতে পারেন বেসনের বরফি, নানা ধরনের আচার। সবার উৎসাহে তিনি শুরু করলেন বেসনের বরফি বানানো। প্রথমবার যখন তার বানানো ‘বেসনের বরফি’ বিক্রি হয় , তখন তিনি সেই দোকানের সারাদিন বসে ছিলেন। বিক্রি হওয়ার পরে দিনের শেষে ২০০০ টাকা নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। ৯৪ বছর বয়সে তার প্রথম নিজের রোজগারের টাকা। এই টাকা রোজগার শুধু যে তাকে আনন্দ দিয়েছে তা নয়, মনের জোর থাকলে যে বয়স কোন বাধা সৃষ্টি করতে পারে না তার উদাহরণ এই ঠাকুমা। তিনি শুধু বরফি নয়, নানা ধরনের চাটনি আচার তৈরি করে বাজারে বিক্রি করেন। বয়সকে তুড়ি মেরে দিয়ে তিনি নিরন্তর পরিশ্রম করে যান। নিজের নাতি নাতনির বিয়েতেও তিনি নিজের হাতের বানানো মিষ্টি অতিথিদের খাইয়েছেন। ১ কিলোগ্রাম বেসনের বরফি দাম ৮৫০ টাকা। পরিবারের মানুষেরা জানিয়েছেন ক্রমাগত মিষ্টির অর্ডার নিয়ে ফোন আসতেই থাকে।
মনের জোর থাকলে সবকিছুই সম্ভব। তাই ঠাকুরমা প্রমাণ করে দিয়েছেন। বয়সের তোয়াক্কা না করে শারীরিক অক্ষমতাকে জয় করে তিনি তার মনের ইচ্ছা পূরণ করেছেন। নিজে হাতে রোজগার করছেন। মন ঠিক থাকলে, শরীর এমনিতেই ফুরফুরে থাকবে। এই সমস্ত মানুষরাই তো আমাদের আদর্শ হতে পারেন। এদের দেখানো পথে অনুপ্রাণিত হয়ে পরবর্তী সমাজ এগিয়ে যাবে সামনের দিকে।