Summer Vacation: পড়াশোনা আর বন্ধ নয়, গরমের ছুটি না বাড়িয়ে ভিন্ন পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের
আর হয়তো গরমের ছুটি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না কারণ আবহাওয়া অফিস থেকে শুনিয়ে দিয়েছে খুশির খবর। আগামী সপ্তাহে বুধবারের মধ্যেই বর্ষা চলে আসছে। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার বৃষ্টিতে খানিকটা ভিজতে ভিজতেই এবার পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারবে। আর বিদ্যালয়ে গরমে কষ্ট পেতে হবে না। তবে গরমের ছুটির মধ্যেই একটা বিশাল পদক্ষেপ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার এর তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, যে সমস্ত এলাকাতে প্রচন্ড পরিমাণে তাপপ্রবাহ চলবে তারা প্রয়োজন বোধ করলে মর্নিং স্কুল করে দিতে পারে।
বর্ষা উত্তরবঙ্গে আটকে আছে। উত্তরবঙ্গে বর্ষা তার খেল দেখাচ্ছে, একটার পর একটা বাঁধ ভেঙে গিয়ে গ্রামের পর গ্রাম ভেসে গেছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা কবে আসবে এখনও পর্যন্ত কোনো রকম খবর শোনাতে পারেনি হাওয়া অফিস। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে তীব্র গরমে পাগল হয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবাসী। তবে আজকেই সুখবর শুনিয়েছে হাওয়া অফিস, আগামী বুধবারের মধ্যে বর্ষা প্রবেশ করছে দক্ষিণবঙ্গে। আশা করা যাচ্ছে যে, বর্ষা চলে এলে পরিবেশ অনেকটা ঠান্ডা হয়ে যাবে, তখন আর ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল করতে কোনো অসুবিধা হবে না।
প্রচন্ড তাপপ্রবাহের সাথে সাথে বাতাসে আর্দ্রতা অত্যন্ত বেশি। যার জেরে ঘর্মাক্ত হয়ে যাচ্ছে মানুষ, ১০ ই জুন সমস্ত সরকারি বেসরকারি স্কুল খুলে গেছে। ২২ শে এপ্রিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি পড়ে গিয়েছিল তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণেই তড়িঘড়ি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ছুটির শেষ হওয়ার পরে বিদ্যালয় খোলার পরেও আবারও সেই ভ্যাপসা গরমে কষ্ট পাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষকবৃন্দ।
প্রচন্ড গরমে ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয় নিয়ে যেতে অভিভাবকদের মাথায় হাত পড়েছে অনেকে তো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অভিভাবকরা চাইছিলেন যে মর্নিং এ যাতে স্কুল হয়ে যাক কিন্তু সেটা কি সম্ভব? কি বলছেন সকলে।
কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার ও রাজ্যের শিক্ষা দফতর?
রাজ্যের নতুন নির্দেশিকায় অনুযায়ী, জুন মাসের গরমের দিনগুলিতে স্কুলের সময় পরিবর্তন করতে পারবে। এমন জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও আঞ্চলিক আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই স্কুলগুলিকে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কোথায়, কত তাপমাত্রা, তাপপ্রবাহের কেমন পরিস্থিতি চলছে, সবটা বুঝেই যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত স্কুল ছুটি দেওয়া যাবে না, পড়াশোনার কথা মাথায় রেখে।
এতদিন গরমের ছুটি কতটা ক্ষতি করল ছাত্র-ছাত্রীদের?
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বক্তব্য, গরমের ছুটি এক ধাক্কায় ১০ বা ১৯ দিন থেকে বেড়ে ৪৯ দিন হয়েছে। গরমের জন্য অনেক আগেই ছুটি দেওয়া হয়েছে৷ অনেক স্কুলই এই দীর্ঘ ছুটিতে করোনার সময়ের মতো অনলাইন ক্লাস নিয়েছিল। কিন্তু বহু পড়ুয়ার সেই সমস্ত ক্লাস অ্যাটেন্ড করা সম্ভব হয়নি। মোবাইল ও প্রযুক্তির সমস্যার জন্যই এমনটা হয়েছে। এতদিন ছুটি থাকার ফলে ছাত্রছাত্রীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে, তাই আবারও যদি কোন কারনে ছুটি দিতে হয় তাহলে তাদের আরো ক্ষতি হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার কথা মাথায় রেখেই আর নতুন করে বাড়তি ছুটি দিতে পারেনি, রাজ্য সরকার বিদ্যালয়গুলিকে বলা হয়েছিল, প্রয়োজন বোধ করলে মর্নিং এ বিদ্যালয় করার কথা। অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে নদীয়ার একটি বিদ্যালয়েতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এসি র ব্যবস্থা করেছেন।