অবশেষে বিদ্যালয়ের তালা খুলেছে দীর্ঘ গরমের ছুটি কাটিয়ে। তারপর ১০ জন সরকারি এবং সরকারপোষিত বিদ্যালয় গুলি আস্তে আস্তে চেনা ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে। এতদিন পর ছাত্র-ছাত্রীরা অপেক্ষা করে বসেছিল কবে তাদের চেনা বিদ্যালয় প্রবেশ করবে কিন্তু এই গরমের মধ্যে অনেকেই বিদ্যালয়তে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ভ্যাপসা গরমে কষ্ট পেতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। যদিও ভোটের নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পরে অর্থাৎ ৩ তারিখ বিদ্যালয়ে খুলে গেছে তা যদিও ছাত্রছাত্রীদের জন্য নয় সে সময় থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরই বিদ্যালয়ে যেতে হয়েছিল। নির্বাচনের পরে বিদ্যালয়গুলিকে পড়ানোর জন্য প্রস্তুত করতে হবে, সেই জন্যই ৩ তারিখে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ক্লাস শুরু করা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে গরমের ছুটি যে সময় পড়ার কথা ছিল তার বেশ কয়েকদিন আগেই গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে আসলে এতটা গরম পড়েছিল যে বাইশে এপ্রিল থেকে গরমের ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে বিদ্যালয় খুলতে না খুলতেই আবারও ভ্যাপসা গরমে কষ্ট পাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা এইরকম পরিস্থিতিতে ভারতবর্ষের অনেক জায়গাতেই ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার ছুটি বাড়ানোর কথা কিছু বলেননি কারণ এতদিন পর্যন্ত গরমের ছুটি থাকার ফলে ছাত্রছাত্রীরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আর কিছুদিন বাদেই পরীক্ষা, কিভাবে সিলেবাস শেষ হবে, সেই নিয়েই চিন্তা ভাবনা শুরু হয়ে গেছে এইরকম পরিস্থিতিতে। তবে রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে সমস্ত জায়গাতে তীব্র তাপপ্রবাহ রয়েছে, সেখানে অবশ্যই যদি শিক্ষক-শিক্ষিকারা বোঝেন বিদ্যালয়ে মর্নিং এ করে দিতে পারেন।
ক্লাস বন্ধ করার বিকল্প হিসাবে কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার
ক্লাস বন্ধ করা কিছুতেই সম্ভব নয়। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে অনেক জায়গাতেই অনলাইন ক্লাস চালু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ জায়গাতেই কিন্তু অনলাইন ক্লাস খুব একটা জায়গা করে নিতে পারেনি। কারণ শহরাঞ্চলে হয়তো ছেলেমেয়েদের হাতে ফোন বা অন্যান্য ব্যবস্থা থাকতে পারে, কিন্তু গ্রামাঞ্চলে সবার পক্ষে অনলাইন ক্লাস করা কিছুতেই সম্ভব নয়। তবে খুশির খবর যে সব কিছু কাটিয়ে বিদ্যালয়কে আবার নতুন ছন্দে ফেরানো গেছে।
সামনের সপ্তাহে বর্ষার আগমন
আবহাওয়া দফতর খুশির খবর শুনিয়ে দিয়েছে, সামনের সপ্তাতেই চলে আসছে বর্ষা, যার ফলে আর কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের তাপপ্রবাহের মধ্যে গরমে ঘামতে ঘামতে ক্লাস করতে হবেনা।