Finance NewsHoop News

অর্থনীতির চরম দুরবস্থা! বিরাট সমস্যার মুখে চিন, চাপ বাড়ল জিনপিং সরকারের উপর

বড় সমস্যার মুখে দাঁড়িয়ে চিন (China)। গত পাঁচ ত্রৈমাসিকে চিনের অর্থনীতির ফল হয়েছে তথৈবচ। শুধু তাই নয়, চলতি মাসে সবথেকে কম গ্রোথ রেটও হয়েছে চিনের। এক দশকে দু বার হতে চলা নীতি বৈঠকের আগে এই পরিসংখ্যানগুলি স্বাভাবিক ভাবেই চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে শি জিনপিং (Xi Jinping) প্রশাসনের উপরে। মূলত উপভোক্তা ব্যয় বাড়ানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টার কারণেই গ্রোথ রেটে এমন পতন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, চিনের এক বছর আগের তুলনায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বেড়েছে ৪.৭ শতাংশ। তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি ৫.১ শতাংশেরও কম। অন্যদিকে ২০২২ এর পর থেকে খুচরো বিক্রয়ও বেড়েছে অনেক ধীর গতিতে। এ বিষয়ে সম্প্রতি হংকং এর ক্রেডিট এগ্রিকোল CIB এর অর্থনীতিবিদের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ব্যর্থতার পর বার্ষিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫ শতাংশ অর্জন করতে নীতি পরিবর্তন করতে হবে সরকারকে। দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য একটি ব্যুরো সভায় যোগ দিতে চলেছেন চিনের রাষ্ট্রপতি সহ ২৪ জন সিনিয়র দলীয় আধিকারিক।

উল্লেখ্য, করোনার পর চিনের বিকাশের জন্য ম্যানুফ্যাকচারিং এবং হাই টেক সেক্টরে বাজি ধরেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অন্যদিকে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন হলে তিনি চিনের উপর নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর হুমকি দিয়ে রেখেছেন। এদিকে চিনের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের তথ্য থেকে এটা বোঝাই যাচ্ছে যে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে দেশীয় ব্যয় বাড়াতে হবে।

অন্যদিকে ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিক্সের তরফে তথ্য সহ একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অত্যধিক বৃষ্টি এবং বন্যার কারণে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গ্রোথ মন্থর হয়েছে। NBS এর তরফে বলা হয়েছে, চিনের অর্থনীতি বাড়তি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদার সমস্যাগুলি থেকে গিয়েছে।

Related Articles