একসঙ্গে ৭ টন ইলিশ উঠল দীঘায়, চওড়া হাসি মৎস্যজীবীদের মুখে, দাম কি কমবে?
অবশেষে দীঘায় দেখা মিলল রূপোলি শস্যের। প্রায় সাত টন ইলিশ (Hilsa) উঠেছে মৎস্যজীবীদের জালে। সমুদ্রে যাওয়া মৎস্যজীবীরা খুশির খবর জানিয়েছেন, বিগত তিন চার দিনে দীঘায় প্রায় সাত টন ইলিশ ধরা পড়েছে। আরো বেশ কিছু ট্রলারও মাছ নিয়ে ফিরছে বলে জানিয়েছে মৎস্যজীবীরা। দীঘার মোহনা বাজারে এসেছে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ।
মোহনা বাজারের মাছ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এসেছে যার দাম ৫৫০ টাকা। অন্যদিকে ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি দরে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম রয়েছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি দরে। আর ১ কেজি ওজনের ইলিশের দর রয়েছে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা দরে।
তবে মৎস্যজীবীরা জানান, অন্য বার এই সময়ে আরো বেশি পরিমাণে ইলিশ ওঠে। তবে এবারে মাছ ধরার মরশুম শুরু হওয়ার পর থেকেই একাধিক বার নিম্নচাপের সতর্কতা ছিল। এর ফলে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। উপরন্তু সম্প্রতি উপকূলে বিমানের মহড়ার জন্য দু দফা করে ৬ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। তবে এতদিনে এত পরিমাণে ইলিশ ওঠায় খুশি মৎস্যজীবী থেকে বিক্রেতারাও।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাজেটে সরকারের তরফে সামুদ্রিক খাবারের উপর থেকে কর ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ইলিশ ধরতে মূলত সমুদ্রে পাড়ি জমায় মৎস্যজীবীরা। কারণ নদীতে ডিম পাড়ার মরশুম শেষ হয়ে যাওয়ার পর ইলিশ ফের সমুদ্রে ফিরে যায়। তাই কেন্দ্রীয় বাজেটে সামুদ্রিক খাবারের উপর কর ছাড় দেওয়ার ঘোষণার পর থেকেই ইলিশের দাম কমার আশা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ইলিশের পাশাপাশি পমফ্রেটের মতো অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের দাম কমার আশাও করা হচ্ছে।