আসতে পারে শতাব্দীর সবথেকে বিধ্বংসী ভূমিকম্প, সতর্কতা জারি দেশ জুড়ে
পরপর ভূমিকম্প (Earthquake) আতঙ্কে তটস্থ জাপান (Japan)। কিছুদিন আগেই প্রবল ভূকম্পনে কেঁপে উঠেছিল পূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.১। তার তিন দিনের মাথায় আবারও ভূমিকম্পের সতর্কতা জারি করা হল জাপানে। এই ভূমিকম্পের তীব্রতাও বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি সুনামির সম্ভাবনাও।
জাপানের আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যে ফের একটি ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এর তীব্রতা রিখটার স্কেলে আট কিংবা নয় ছুঁয়ে ফেলতে পারে। এমনকি থাকছে সুনামির সম্ভাবনাও। এই সম্ভাব্য বিপর্যয়কে ‘মেগা কোয়েক’ নাম দিয়েছেন জাপানের আবহাওয়াবিদরা। এমতাবস্থায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বাতিল করেছেন বিদেশ সফর। তিনি বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সঙ্কট ব্যবস্থাপনার সর্বাধিক দায়িত্ব তাঁর। এমন পরিস্থিতিতে আরো ১ সপ্তাহ দেশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
আগের বার দক্ষিণ জাপানে আঘাত হেনেছিল প্রবল শক্তিশালী ভূমিকম্প। কিউশুর পূর্ব ও দক্ষিণ উপকূল এবং শিকোকুর দক্ষিণ উপকূলে জারি করা হয়েছিছে সুনামি সতর্কতা। সমুদ্রের ঢেউ ১ মিটার উঁচু হয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল। এবারের ভূমিকম্প আগেরটিকেও ছাপিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমের তরফে খবর, এমন বড়সড় মাপের ভূমিকম্প যদি সত্যি হয় তাহলে এটিই বে শতাব্দীর সবথেকে ভয়াবহ বিধ্বংসী ভূমিকম্প।
ভূমিকম্প এবং সুনামি সতর্কতায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জাপানে। তৈরি হয়েছে আতঙ্কের পরিবেশ। আগামী কয়েক দিনের রসদ মজুত করতে অনেকেই তৎপর হয়ে উঠেছেন। আবার কেউ কেউ খুঁজছেন নিরাপদ আশ্রয়। পূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটি অত্যন্ত ভূমিকম্প প্রবণ। অতীতে বহু ভয়াবহ ভূমিকম্পের ইতিহাস রয়েছে জাপানে। এখানকার মানুষ প্রকৃতির রুদ্ররূপের সঙ্গে ভালো ভাবেই পরিচিত। ভূমিকম্পকে সঙ্গে নিয়েই তাদের নিত্য জীবনযাত্রা। তবে এবারের প্রবল ভূমিকম্প এবং সুনামির আশঙ্কা চিন্তা বাড়িয়েছে সকলেরই।