প্রাণের মূল্য ১০ লক্ষ! নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, সাফাই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আরজিকর (RG Kar Medical College Hospital) কাণ্ডের ভয়াবহতা আলোড়ন ফেলেছে গোটা দেশে। নির্যাতিতার প্রতি বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। সিবিআই তদন্তের ভার নিতেই প্রতিদিন তদন্তের অগ্রগতির আপডেট জানার জন্য আগ্রহী হয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষ। দোষীদের শণাক্ত করে নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসককে সঠিক বিচার দেওয়ার দাবিতে সরব সকলেই। এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baisakhi Banerjee)।
তাঁর কথায়, মেয়েদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে ভেবে আসা সেই আদিম যুগ থেকে চলে আসছে। ধর্ষণের ঘটনা আগেও ঘটেছে। কিন্তু ইদানিং এত নৃশংসতা কেন? সন্তানকে বড় করে তুলতে, মানুষের মতো মানুষ করে তুলতেই কি তবে কোনো গাফিলতি থেকে যাচ্ছে? প্রশ্ন তুলেছেন বৈশাখী। তাঁর মতে, ধর্ষণ একটি সামাজিক অসুখ। এটি রাজনৈতিক খুন নয়। এই ঘটনা প্রাতিষ্ঠানিক ফেলিওর। সমস্যা লুকিয়ে রয়েছে আরজিকর এর মধ্যেই, দাবি বৈশাখীর।
মহিলাদের প্রতিবাদের উত্তর হিসেবে তাদের সুরক্ষার জন্য ‘রাতের সাথী’ চালু করছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে অন্যতম পরিকল্পনা হিসেবে বলা হয়েছে, মহিলাদের নাইট ডিউটি যতটা সম্ভব কমাতে হবে। এ বিষয়ে বৈশাখী বলেন, অনেক আন্দোলনের পর নারীরা সমান অধিকার অর্জন করেছিল। কিন্তু এখন আবার যেন সমাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। দিন রাত মেয়েরা সবসময়ই বিপন্ন। খুব দরকার ছাড়া মেয়েদের নাইট ডিউটি দেওয়া হবে না বলা হচ্ছে। কিন্তু এমন কেন বলা হচ্ছে না যে মেয়েরা নাইট ডিউটি করলেও তাদের সুরক্ষা নিয়ে বাবা মাকে চিন্তা করতে হবে না? প্রশ্ন তুলেছেন বৈশাখী। একই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন, পশুদের মনের ভেতর থেকে অমানবিক জঙ্গল দূর করা প্রয়োজন। নয়তো মেয়েরা কোথাও সুরক্ষিত থাকবে না।
এক সভায় নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যাকে ঘিরে ছিছিক্কার পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে। ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও। তবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী যে আর্থিক অনুদানের কথা বলেছেন যে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। মেয়েটির আর্থিক পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করেই চিকিৎসক হয়েছিল। এমতাবস্থায় আইনি লড়াই লড়তেও অর্থের প্রয়োজন হবে। সেই ভাবনা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী অনুদান দেওয়ার কথা বলেছেন বলে মনে করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।