ভক্তদের জন্য এবার বিনামূল্যে দেওয়া হবে জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ, বিরাট সিদ্ধান্ত ওড়িশা সরকারের
প্রত্যেক হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছেই পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple) অন্যতম দর্শনীয় তীর্থস্থান। এমন মানুষ খুব কম আছেন যিনি একবারও পুরীতে যাননি। আর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গেই অবিচ্ছিন্ন ভাবে জড়িয়ে রয়েছে মহাপ্রসাদ (Maha Prasaad)। এই মহাপ্রসাদেরও মাহাত্ম্য কম নেই। বহু কাহিনি জড়িয়ে রয়েছে এই মহাপ্রসাদের সঙ্গে। কথিত আছে, পুরীর মহাপ্রসাদ নাকি খেয়ে শেষ করা যায় না। মোট ৫৬ রকমের প্রসাদ থাকে এর মধ্যে। আর এবার জানা গিয়েছে, বিনামূল্যেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ পেতে পারবেন ভক্তরা।
ওড়িশা সরকারের তরফে নেওয়া হয়েছে এক নতুন উদ্যোগ, যার মাধ্যমে ভক্তরা বিনামূল্যেই পেতে পারবেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ। ওড়িশা সরকারের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দ্রন এ বিষয়ে জানান, খুব শীঘ্রই পুরীর মহাপ্রসাদ বিনামূল্যে দেওয়া হবে ভক্তদের। খুব শীঘ্রই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মাহাত্ম্য সকলেই জানেন। প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় পুরীতে। জগন্নাথদেবকে দর্শন করে পুণ্য অর্জন করতে আসেন সব বয়সের মানুষ। আর পুরীর রথযাত্রার সময়ে সংখ্যাটা পৌঁছে যায় কয়েক লক্ষে। যারাই পুরীতে যান সকলেরই ইচ্ছা থাকে মহাপ্রসাদ গ্রহণ করার। এমনিতে মহাপ্রসাদের কাপের দাম ৯০ টাকা। তবে খাজার দাম আলাদা। আনন্দ বাজারে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ বাক্সের দাম রয়েছে ১ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। দেবী সুভদ্রার প্রসাদ বাক্সের দাম শুরু ১৫০ টাকা থেকে।
আগে মহাপ্রসাদের থালির দাম ছিল ২৫০ টাকা। পরে সেই দাম বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের কথা মাথায় রেখেই এবার মহাপ্রসাদ বিনামূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যে ভোগ দেবতাদের নিবেদন করা হয় তা জনসাধারণের মধ্যে বিতরণ করা হয় না। সেবকদের দ্বারা প্রস্তুত মহাপ্রসাদ মন্দিরের ভেতরেই আলাদা করে বিক্রি হয় আনন্দ বাজারে।