Weather Report: দুর্যোগের ঘনঘটা, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে আছড়ে পড়তে চলছে অসাময়িক বৃষ্টিবিপদ
বাংলায় শীতের হাল বেহাল পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার রোষে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েই দিয়েছে, অসময়ের বৃষ্টি শুরু হতে চলেছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দরুণ ৪ তারিখ শুক্রবার থেকেই প্রচুর পরিমাণে জ্বলীয়বাষ্প প্রবেশের জেরে সপ্তাহ শেষ অবধি চলবে হালকা-মাঝারি বৃষ্টি। রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলা প্রকোপ ভুগবে এই ঝঞ্ঝার। ৪ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের নয় নয় করে ১৪ জেলায় আকাশ ভেঙে পড়বে। বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্মুখীন হবে ওই জেলার মানুষ। সাথে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা তো প্রবল। উত্তরবঙ্গে কিছু কিছু এলাকা ভিজবে এই দিন।
মৌসুম ভবনের কথা মতো, দুই ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বৃষ্টি হবে। দুই বর্ধমানেও সম্ভাবনা প্রবল। পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অর্থাৎ আগামী ২ থেকে ৩ ঘন্টার মধ্যে আছড়ে পড়তে চলছে অসাময়িক বৃষ্টিবিপদ। ইতিমধ্যে ঝোড়ো হাওয়া, মেঘলা আকাশে মেঘের ভেলার আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। সরস্বতী পূজার দিন অর্থাৎ ৫ তারিখ হয়ত সকালের দিকে হালকা বৃষ্টি হতেও পারে। সোমবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে।
শুক্রবারের আবহাওয়া:
রাজ্যের রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বেড়ে হয়েছে ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অবিশ্বাস্য ভাবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হুড়মুড়িয়ে ৪ ডিগ্রি বেড়ে হয়েছে ১৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বঙ্গোপসাগরের প্রচন্ড জলীয় বাষ্প বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৬ শতাংশের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সকাল থেকেই আকাশ মুখ ভার করে কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে বসে শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে আলো জ্বালিয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে। বিমানের ওঠানামার সময় অসুবিধা হয় মেঘলা আকাশ থাকলে। তাই ধীর গতিতে বিমান চলাচল করায় খানিকটা বিলম্ব হবেই। এমনটাই জানা গিয়েছে।
অসময়ের বৃষ্টি বাংলায় কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হতে পারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ‘হ্যাজার্ড অ্যাটলাস’-এর তালিকায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, সারা রাজ্য জুড়ে রাজ্যেই অতিবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। দুই পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে জলোচ্ছ্বাস ও বন্যার হতে পারে। খরা বিপদের সম্মুখীন হতে পারে বীরভূম ও নদিয়া। অর্থাৎ অতিবৃষ্টি, খরা, জলোচ্ছ্বাস ও বন্যায় জর্জরিত থাকতে পারে বাংলা। এমনটাই পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছে।