অযত্নে ফোটা কচুরিপানা থেকেই মোটা আয়, তৈরি হচ্ছে শৌখিন জিনিস, বিদেশে চাহিদা তুঙ্গে
শহরের বাসিন্দা হন বা গ্রামের, কচুরিপানা (Water Hyacinth) তো নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন। বর্তমানে শহরাঞ্চলে পুকুরের দেখা না মিললেও গ্রামের দিকে কচুরিপানায় ভরা পুকুর এখনো আকছার দেখা যায়। তবে এই কচুরিপানাকে একরকম আগাছা হিসেবেই দেখা হত এতদিন। পুকুর ভরে গেলে পুকুরে মালিকরা তুলে ফেলে পুকুর পরিস্কার করতেন। তবে এখন থেকে আর তেমনটা হবে না। এবার আপাত অব্যবহারযোগ্য কচুরিপানাই হয়ে উঠছে দারুণ কাজের জিনিস।
কচুরিপানা থেকে শৌখিন সামগ্রী
কচুরিপানা দিয়ে এখন তৈরি হচ্ছে শৌখিন ব্যাগ, ডাইনিং ম্যাট, পেনদানির মতো নানান শৌখিন জিনিস। বাজারে বিক্রিও হচ্ছে দ্রুত। ক্রমে চাহিদা বাড়ছে কচুরিপানা থেকে তৈরি জিনিসপত্রের। হুগলির ব্যান্ডেলের ত্রিকোণ পার্ক এলাকায় কচুরিপানা থেকে নানান সামগ্রী তৈরি করছেন মহিলারা। কীভাবে তৈরি হচ্ছে এই জিনিসগুলি?
কীভাবে তৈরি হয় জিনিস
এক মহিলা হস্তশিল্পী জানান, জল থেকে কচুরিপানা তুলে এনে সেগুলিকে প্রথমে রোদে শুকোনো হয়। তারপর সরু এবং মোটা কচুরিপানা আলাদা করে বুনোটে ফেলে নানান সামগ্রী তৈরি হয়। এক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য জানান, শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে সরস্বতী নদী। সেখান থেকেই তুলে আনা হয় কচুরিপানা। মূলত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মহিলা কর্মীরাই তৈরি করছেন এইসব শৌখিন জিনিস।
শিল্পের ভবিষ্যৎ কী
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ওই সদস্য আরো জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে এই সামগ্রীগুলি। পাশাপাশি বিদেশেও এমন শৌখিন জিনিসের খুব চাহিদা। সেখানেও পাঠানো হয়। ভারতের মধ্য চণ্ডীগড়, দেরাদুনের পাশাপাশি আমেরিকা, জাপান, ইন্দোনেশিয়াতেও নাকি গিয়েছে বেশ কিছু হস্তশিল্পের নমুনা। এই কাজ করে মহিলারা মাসে ৩-৪ হাজার টাকা উপার্জন করছেন। এতে তাদেরও আর্থিক সুবিধা হচ্ছে বলে জানান হস্তশিল্পী মহিলারা।