Arpita Mukherjee: ‘আমার কিছু নয়, সব টাকা-সোনা-গয়না পার্থর’, লিখিত দাবি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের
অবশেষে ইডি জমা দিয়েছে মোটা পাতার চার্জশিট। এবার আর জামিন সম্ভব নয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এখন সকলেই জানতে চায় কী আছে ওই চার্জশিটে?
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ১৭২ পাতার চার্জশিট থেকে জানা গিয়েছে যে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, টাকা, সোনা কোনো কিছুই অর্পিতার নয়, সবটাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর। হ্যাঁ, তিনি দাবি করেছেন, উদ্ধার হওয়া সব টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
এদিকে, ইতিমধ্যে অর্পিতা ও পার্থর ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। অর্পিতার বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন ও টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে যেই পাহাড় প্রমাণ কোটি কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে সেই টাকা অর্পিতার নয়, এমনটা বহুবার বলেছিলেন, কিন্তু এতদিন বলেননি যে ওই টাকা পার্থর। কারণ, তিনি তার নিজের ও তার মায়ের প্রাণনাশের ভয় পান। বর্তমানে সমস্ত ভয়ের উর্ধ্বে গিয়ে জানিয়ে দেন সব টাকা ও সোনা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
কাহিনী এখানেই শেষ নয়। ইডি র দেওয়া চার্জশিট থেকে এও জানা গিয়েছে যে তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে পার্থ আর্থিক লেনদেন চালিয়েছেন এবং সেই মেসেজ ও প্রমাণ উদ্ধার হয়েছে। এমনকি অর্পিতার নামে যেই ৩১টি জীবন বিমা পলিসি ছিল, যার বার্ষিক প্রিমিয়াম জমা পড়ত ১.৫ কোটি টাকা, সেই বার্ষিক প্রিমিয়াম জমা করতেন খোদ পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে। তাহলে কোর্টে প্রমাণ হচ্ছে পার্থ অর্পিতার সম্পর্ক ভালই ছিল, অথচ পার্থ কোর্টে বলেন যে অর্পিতাকে তিনি সেভাবে চেনেন না। কাহিনীর পরের অংশ পড়লে বুঝতেই পারবেন যে স্ত্রী বেচেঁ থাকতে তিনি পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান। ২০১২ সাল থেকে পার্থ ও অর্পিতার যোগাযোগ ছিল বলে বহু ক্ষেত্রে প্রমাণ মিলেছে, এবং তখন থেকে উভয়ের নামে একাধিক যৌথ সম্পত্তিরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বাকিরা ক্রমশ প্রকাশ্য…..