Hoop PlusTollywood

রেজিস্ট্রি, লিভ ইনের পর রাজকীয় ভাবে বিয়ে করতে চলেছেন গায়ক দুর্নিবার

টেলভিশনের পর্দায় দুর্নিবার সাহাকে প্রথম দেখা পাঁচ বছর আগে ‘সারেগামাপা’-র মঞ্চে এককন প্রতিযোগী হিসেবে। নিজের সুরেলা কণ্ঠস্বরে অনেকের বং ক্রাস হয়ে ওঠেন এই গায়ক। খুব স্বল্প সময়ে নিজের একটি ফ্যানবেস গড়ে তোলে দুর্নিবার। অন্য মেয়েদের মতো দুর্নিবারকে পছন্দ করতে শুরু করেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। টেলিভিশনের পর্দায় দেখলেও কথা হয়নি কোনোদিনই। এরপরই মীনাক্ষী সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে খুঁজে বের করেন দুর্নিবারকে। এরপর শুরু দুজনের প্রথম আলাপ, সেখান থেকে বন্ধুত্ব এবং প্রেম। এ ভাবেই রুপকথার গল্প শুরু হয় দুর্নিবার এবং মীনাক্ষী।

এদের দুজনের সম্পর্কের মাত্র ২ বছরের মাথায় খুব কাছাকাছি চলে আসেন। একসাথে থাকার জন্য ২০১৭ সালে আইনি মতে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ ও সেরে ফেলেন তাঁরা। এরপর দুজনে একসাথে লিভ ইন করা শুরু করেন। তিনবছর টানা লিভ ইনে থাকার পর এবার ঘটা করে ছাদনা তলায় অগ্নিসাক্ষী করে মালাবদল, সাত পাক, চার হাত এক করার পালা। তাই টলিপাড়াতে এই বিয়ের মরশুমে সাবেকি বাঙালিয়ানাতেই আগামী ২১ ফেব্রুয়ারী বন্ধু ও আত্মীয় পরিজনদের সাক্ষী রেখে নিজের বিয়ে সম্পন্ন করতে চান দুর্নিবার ও মীনাক্ষী।

এই সংবাদপত্রের সাক্ষাৎকারে নিজেদের বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা নিজেরাই জানিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী দুর্নিবার। এই মিষ্টি কাপেলের বিয়ের অনুষ্ঠান চলবে তিন দিন ধরে। ২০ই ফেব্রুয়ারি হবে প্রথমে মেহেন্দি এবং সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। সঙ্গীত অনুষ্ঠানে বন্ধুদের পাশাপাশি তাঁরা নিজেরাও পারফর্ম করবেন। আর তার পরের দিন  ২১শে ফেব্রুয়ারি সাবেকি বাঙালি নিয়মে হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। বৌভাত হবে ২৩ শে ফেব্রুয়ারিতে। বিয়েতে দুজনকে বাঙালি সাবেকি সাজে দেখা মিলবে দুজনের। । বিয়ে এবং রিসেপসনের অনুষ্ঠান হবে নিউ টাউনের ‘স্বপ্নভোর’এ রিসর্টে। আর বিয়ের সমস্ত অনুষ্ঠান করোনা বিধিনিষেধ মেনেই পালন করা হবে তাই জানালেন গায়ক মশাই।

বাঙালি মতে যেমন বিয়ে করবেন ঠিক একইভাবে বাঙালীয়ানা মতে অতিথী আপ্যায়ন করবেন দুর্নিবার ও মীনাক্ষী। খাবারের তালিকায় থাকছে জিরা রাইস, মটন কষা, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, এই সমস্ত বাঙালি খাবারই মেনুতে থাকবে। আর বৌভাতের মেনুতে থাকবে মোঘলাই ঘরানার খাবার বিরিয়ানি, কাবাব, ফিরনি। মধুচন্দ্রিমা নিয়ে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হলে দুর্নিবারকে জিজ্ঞাসা করাতে তিনি জানিয়েছেন, এখনো কিছু ঠিক নেই বৌভাতের রাতে প্ল্যান করে পরেরদিন সকালে পাহাড় বা জঙ্গলের মধ্যে কোথাও একটা বেরিয়ে পড়বেন।

Related Articles