সাগরদ্বীপ এবং পুরীর মাঝে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ‘দানা’র, বৃহস্পতিবার রাতেই ঘূর্ণির ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে, তার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বাংলা ও ওড়িশার উপকূলে। আলিপুর আবহাওয়া এর তরফ থেকে জানানো হচ্ছে মঙ্গলবার সকালে এটা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর শক্তি বাড়িয়ে বুধবার পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ দিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের নাম কাতার দিয়েছে দানা।
ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরে এটি উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে, বৃহস্পতিবার সকালেই বাংলা এবং উড়িষ্যার উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে, ঘূর্ণিঝড় আর সেখানে ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।
ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে পৌঁছনোর পর উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ১০০-১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে যে প্রায় ১২০ কিলোমিটার বেগে প্রতি ঘন্টায় ঝোড়ো হাওয়া বইবে, ২৩ অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জায়গাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে, কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃহস্পতি ও শুক্রে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও বাঁকুড়ায় দুই-এক জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই ৮ জেলাতেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেখা যায়।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কাঁচা বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া তিনি যেতে পারে তাই সাধারণ মানুষকে অনেকটাই নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হচ্ছে, গাছপালা পড়ে যেতে পারে। হাতের কাছে অবশ্যই মোমবাতি কিংবা প্রয়োজনীয় জিনিস রেখে দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। বাড়ি ভেঙে যেতে পারে, শষ্যের অসম্ভব ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, এ বিষয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।