অনামিকা। পরিচালক বিক্রম ভাটের পরিচালনায় পরবর্তী ওয়েব সিরিজে। এই অ্যাকশান ওয়েব সিরিজে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন সানি লিওন ও সোনালী সেহগল। এই ওয়েব সিরিজে ১০টি এপিসোড আছে। করোনার জেরে ছবির শ্যুটিং পিছিয়ে গেছে। এমএক্স প্লেয়ারে ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
এই ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং সেটে লাগলো ধুন্ধুমার কান্ড। সানির শ্যুটিং ফ্লোরে এখন একদল গুন্ডাদের উৎপাত লেগেছে। ঘটল ভয়ঙ্কর কাণ্ড। কিন্তু কেন? আবার পরিচালকের কাছে ভয়ে দেখিয়ে চাওয়া হল ১ বা ২ লক্ষ নয় এক্কেবারে ৩৮ লক্ষ টাকা। ফাইটার্স অ্যাসোশিয়েশনের মাথা আব্বাল আলি মঘুলের লোকজন সেটে ঢুকে নিজেদের বকেয়া টাকা দাবি করেন। গুন্ডাদের ভয়ে আতঙ্কিত পরিচালক মশাই নিজে। এরমধ্যে বিপাকে পড়লেন সানি লিওনি নিজে। ঘটনার জেরে বন্ধ শ্যুটিং ফ্লোর।
কোনওরকমে ভ্যানিটি ভ্যানে ঢুকে বাঁচলেন অভিনেত্রী সানি লিওন। ঘটনার জেরে সেদিনের জন্য শ্যুটিং স্থগিত রাখতে হয়। এখানেই শেষ নয়, পরবর্তী সময়ে অন্যত্র শ্যুটিংয়ের অনুমতি নিতে হয় পরিচালক মশাইকে। কিন্তু হঠাৎ করে এই ঝামেলার সূত্রপাত হল কেন প্রশ্ন সকলেরই। অ্যাকশন ডিরেক্টর আব্বাস আলি ও তাঁর দলবলের তরফে অভিযোগ করেন, অ্যাকশন ডিরেক্টর আব্বাস ও পরিচালক বিক্রম ভাট মিলে একসঙ্গে মোট ৮টি প্রোজেক্টে কাজ করেছিলেন। সেসব কাজের বকেয়া থাকা পারিশ্রমিক এখনো অনেক টাকা বাকি আছে। এদিকে কাজের পর কাজ। তাই এবারে থাকতে না পেরে তাই নিতেই নাকি বিক্রমের পরবর্তী ছবির সেটে এসে হাজির হন তারা। ভয়ে একপ্রকার বিক্রম শেষে ১৪ লক্ষ টাকার একটি চেক সই করে ওদের হাতে তুলে দেন। এর পরই তাঁরা সেখান থেকে ফিরে যান।
টাকা দেওয়ার পর পরিচালক বিক্রম এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, গোটা ঘটনাতে তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। ঠিক কী করা উচিত না উচিত তা তিনি বুঝতে পারছিলেননা। পাশাপাশি অভিনেত্রীর নিরাপত্তার চিন্তা তাঁর মাথায় প্রথমে আসে। তাই তিনি অভিনেত্রীকে তড়িঘড়ি ওকে আমি ভ্যানিটি ভ্যানে তুলে দেন। এরপর তিনি আলি আব্বাসকে যে চেকগুলো দিতে বাধ্য হন। এর মধ্যে দিনের আলো চলে যায়। তাই শ্যুটও শেষ করা হয়ে ওঠেনি। এছাড়া তিনি আরো জানান, তাঁর নাকি আব্বাসকে কোনোদিন ৩৮ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ও চুক্তি হয়নি। এমনকি কোনো চালান ও দেখাতে পারবেনা আব্বাস। এই ধরনের হামলার জন্য ইতিমধ্যেই মঘুলকে আইনি নোটিস পাঠিয়ে দিয়েছেন পরিচালক মশাই।