Hoop News

সুশান্তের পর ফের আত্মঘাতী হলেন তাঁরই সহ-অভিনেতা, শোকের ছায়া অভিনয় জগতে!

ফের বলিউডে শোকের ছায়া। প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গে ‘এম এস ধোনি-দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ এবং অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘কেশরী’ ছবিতে কাজ করেছিলেন এই সহ অভিনেতা সন্দীপ নাহার। গত সোমবার গুরগাওঁ-এ নিজের বাড়িতেই আত্মঘাতী হন। পুলিশ অভিনেতার মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এই অভিনেতা চলচ্চিত্র ছাড়াও ছোটপর্দায় বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে কাজ করেন।

মারা যাওয়ার কিছু ঘন্টা আগে নিজে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও ও সুইসাইড নোট শেয়ার করেছিলেন সন্দীপ। লেখা ছিল, কীভাবে ব্যাক্তিগত নানা সমস্যায় ভুগতে ভুগতে তিনি ক্লান্ত হয়ে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন। না বলিউডে ফেভারিটজম নয় অন্য কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এই চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি নিজের স্ত্রীকেই দায়ী করেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তিনি যে আত্মহত্যা করবেন, সেটা কেউ ভাবতে পারেনি।

মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে, ফেসবুক সেই ভিডিয়োতে সন্দীপকে বলতে শোনা যায়, ফেসবুক ইউজাররা নিশ্চয়ই তাকে কয়েকটি ছবিতে দেখেছেন। তিনি এম এস ধোনিতে ছোটু ভাইয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এই ভিডিও করার পিছনে একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। তিনি আরো বলেন,”আমার নিজের ব্যক্তিগত জীবনে বহু সমস্যা রয়েছে। নিজের স্ত্রী কাঞ্চন শর্মার জন্য আমি মানসিকভাবে অস্থির। আমি গত দেড়-দু’বছর ধরে টানা ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। কাঞ্চনকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। সে আমার সঙ্গে ৩৬৫ দিনই ঝগড়া করে। ও প্রতিদিন আত্মহত্যা করার কথা বলে। ও বলে, আত্মহত্যা করবে এবং তার জন্য আমাকে দায়ী করবে। আমি অত্যন্ত হতাশ। ও আমার পরিবার এবং মাকে রোজ অপমান করে। আমি ওর সামনে নিজের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে পারি না। ও আমাকে সন্দেহ করে, বারবার কারও সঙ্গেই আমার নাম জড়িয়ে দেয়। ও আমার সঙ্গে ঝগড়া করতেই থাকে। ও এর আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। আমি পাগলের মতো ওকে খুঁজছিলাম। ওর মা ওকে সমর্থন করেন এবং আমার বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন।’

সন্দীপ আরও দাবি করেন, ‘তাঁর স্ত্রীর একাধিক প্রাক্তন প্রেমিক রয়েছে। ২০১৫-১৬ সালেও কাঞ্চনের একজন প্রাক্তন প্রেমিক ছিল, যার সঙ্গে ও প্রায় ৬ বছর ছিল। ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে একজন প্রাক্তন প্রেমিককে জেলে পাঠিয়েছিল। স্ত্রীর প্রতি অভিনেতার মায়া হয় তাই তিনি বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর পরিবারের লোকজনকে ঘৃণা করে। ও এরপর কাঞ্চন যদি কোনো ছেলেকে বিয়ে করবে, তখন আশা করি কেউ ওর মস্তিষ্কের চিকিৎসা করাবে। এই বলে ভিডিও শেষ করেন।

অভিনেতার মৃত্যু নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে খুন না আত্মহত্যা। পুলিশ মনে করছেন এই মৃত্যু দাম্পত্য কলোহের জন্যই। অভিনেতার পরিবার চণ্ডীগড়ে থাকেন তাই সেখানেই নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর মৃতদেহ। অভিনেতার মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন তাঁর পরিবার ও বন্ধুমহলে। অভিনেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া বিনোদন জগতে।

Related Articles