পরনে ছেঁড়া পোশাক হাতে থালা, রাস্তায় বসে ভিক্ষা করছেন মীর আফসার আলি!
ভিক্ষুক তারাই যাদের পেটে খিদে থাকে কিন্তু অর্থ থাকে না, আবার কারোর পকেটে অনেক অর্থ আছে কিন্তু যাচ্ছেতাই খরচের পর পকেট হয়ে যায় গড়ের মাঠ। বিশেষ করে যারা অল্প বয়সে রঙিন প্রেমের জীবন যাপন করেন তাদের ক্ষেত্রে পকেট যখন তখন ধোঁকা দিয়ে দেয়, তা ছেলে হোক বা মেয়ে। অবশ্য এখন চলছে প্রেমের মাস। বিদেশীদের ভ্যালেন্টাইন্স ডে আর বাঙ্গালীদের সরস্বতী পুজো দুইই প্রায় এক। সকালে বাগদেবীর আরাধনার পর শাড়ি পাঞ্জাবীতে মন দেন কপোত কপোতীরা। উরু উরু মন নিয়ে প্রেমের পরশ গায়ে মাখতে হাত ধরে নেমে যান, রেস্তোরাঁ বা কলেজের রুমে, বা সিনেমা হলে বা পার্কে। এই ফাকেই কেউ দেদার খরচ করেন প্রেমিক বা প্রেমিকার মন রাখতে কেউ আবার একটু হলেও চেপে খরচ করেন।
এই বছর সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে রেডিও জকি মীর আফসার আলি করলেন এক দমদার মজাদার পোস্ট। মীরকে দেখে চেনার উপায় নেই যে এটাই সেই মিরাক্কেলের মীর। এলোমেলো চুল, দাঁড়ি গোঁফ কামানো নেই, চোখে খিদে, মুখ বেজার, গায়ে নোংরা পোশাক, সামনে ভিক্ষার থালা আর পাশে ক্রাচ। বুধবার সাতসকালে ফেসবুকে এই কাণ্ডই বাঁধিয়েছেন মীর আফসার আলি (Mir Afsar Ali)।
মীর এদিন তার এমন ঝকমারি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “বাঙালীর প্রেম দিবসের ঠিক পরের দিন ছেলেদের হাল… এটি একটি সিরিয়াস পোস্ট। লাইক বা কমেন্ট নয়, দুটো টাকা দিয়ে যান।”
মীরের এমন উদ্ভট পোস্ট দেখে অনেকেই কমেন্ট করেছেন। প্রথম দিকে অনেকেই চিনতে পারেননি মীরকে। অনেকে ভেবেছেন হয়ত দরিদ্র অসহায় ব্যক্তির ছবি। অবশ্য যারা যারা বুঝেছেন তাদের কেউ কেউ লিখেছেন, “আমার দেখা সবচাইতে প্রিয় উপস্থাপক,অভিনেতা।যার স্পর্শে চারদিক ঝলমল করে উঠে। ” আবার কেউ লিখেছেন, “এভাবে ভাবার কোন মানে হয়না, এখন অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েরা গিফট দেয়, রেস্টুরেন্টে খাওয়ার বিল দেয়, অটোরিকশা ভাড়া দেয়। প্লিজ, একপেশে ভাবনা থেকে বের হয়ে আসুন, মীর দা। আপনারা গতানুগতিক ভাবলেতো মুশকিল!! সাধারণরাতো আপনাদের আদর্শ মানে।” কেউ লিখেছেন, “দাদা নিশ্চই পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন ..!?”