চিরযৌবনা অভিনেত্রী রেখাকে নিয়ে বলিউডে গসিপ কিছু কম নেই। রেখা যেদিন থেকে বি টাউনে পা রেখেছেন সেদিন থেকে তাকে নিয়ে শুরু হয় নিত্যনতুন গসিপ। বিশেষ করে অমিতাভ বচ্চনকে নিয়ে তার জীবন বর্ণময়। এখনও তিনি মাথার সিথিতে সিঁদুর দেন। সকলের ধারণা অমিতাভ বচ্চনের নামে ওই সিঁদুর তিনি দেন। যদিও কথাটা কতটা সত্যি তাই একমাত্র অভিনেত্রী ভালো জানবেন।
বলিউডে পা রাখার পর থেকে রেখা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নায়কের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। অমিতাভ বচ্চনের নাম যাদের মধ্যে সবার আগে। কিন্তু আরও একটি নাম রেখার সঙ্গে জুড়ে যায়। সুনীল দত্তের সঙ্গে ‘প্রাণ যায় পর বচন না যায়’, ‘নাগিন’-এর মতো ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন রেখা। তখনই রেখা ও সুনীল দত্তের সম্পর্ক নিয়ে রব ওঠে। এই কথা স্ত্রী নার্গিসের কান পর্যন্ত পৌঁছায়।
নার্গিস তার স্বামীকে সরিয়ে আনতে পারলেও ছেলে সঞ্জয় দত্তকে পারেননি। অবশ্য রেখা প্রসঙ্গে নার্গিস একবার সংবাদমাধ্যমে বলেন ‘রেখার মতো মেয়েরা খুব সহজ উপলব্ধ’, ‘রেখার মতো মেয়েদের মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন’— এমন নানা মন্তব্য করেন তিনি। যদিও রেখা কখনই নার্গিসের মন্তব্যের পিঠে মন্তব্য করেননি। বরাবর যেকোনো বিতর্ককে চুপ ছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালে সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে ‘জমিন আসমান’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। ছবির শ্যুটিংয়ের সময় থেকেই তাঁরা একে অপরের কাছে আসতে শুরু করেছিলেন। গুঞ্জন ওঠে রেখা সঞ্জয় এর প্রেম নিয়ে। যদিও সঞ্জয় দত্ত তার জীবনে তিনবার বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী মারা গেলে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে আনেন এবং বিচ্ছেদ হয়, পরবর্তীতে মান্যতাকে বিয়ে করেন। তার নিজের জীবনও যথেষ্ট পাকময়। বহু মহিলার সঙ্গে তার ওঠাবসা ছিল যৌবন কালে। এমনকি অনৈতিক কাজেও নিজের নাম জড়িয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত।
এদিকে রেখা বিয়ে করেন ১৯৯০ সালে দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ আগরওয়ালকে। কিন্তু, বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁর স্বামী আত্মহত্যা করেন গলায় দড়ি দিয়ে। এর জন্যও অনেকে রেখাকে ডাইনি অপবাদে দিয়েছিলেন, যেমনটা নার্গিস রেখাকে ডাইনি পর্যন্ত বলেছিলেন। রেখার স্বামী আত্মহত্যা করলে অনেকে এও বলেন যে রেখার উপর অভিমান করেই তিনি মারা যান। অবশ্য এই সব ঘটনার পর থেকে একাই জীবন কাটাচ্ছেন রেখা। এখনও বিতর্ক দেখলে সরে যান, নিজের মতন করেই বাঁচেন। আজও রেখা অপরূপা, স্বাধীন এবং একাকী।