১৯৯৫ সালে ‘দিল ওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ রিলিজ করেছিলেন। তার আগে থেকেই চলছিল শ্যুটিং। কাজল শাহরুখ অভিনীত এই সিনেমা সেইসময় ব্যাপক হিট হয়েছিল, শুধু সেদিন নয়, আজকের দিনেও এই মুভি একই রকম জনপ্রিয়। কিন্তু এই মুভির পেছনে রয়েছে এক অজানা করুন কাহিনী। এই মুভির সব গান দর্শক ও শ্রোতাদের মন ছুয়ে যায়, কিন্তু এই গানের যখন শ্যুটিং চলছিল তখন শাহরুখের জীবনে ঘটে যায় এক চরম দুর্ঘটনা।
সেইসময় চলছে ‘তুঝে দেখা তো ইয়ে’ গানের শ্যুট। চলছে শাহরুখ কাজলের রোম্যান্টিক গানের দৃশ্য। ক্যামেরার সামনে সব ভুলে শুধু মাত্র তখন কাজলের চোখে চোখ রাখতে হয় কিং খানকে। কিন্তু কী হয়েছিল কিং খানের জীবনে? কার জন্য তার জীবন বিপর্যস্ত হয়?
শাহরুখ তার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন অতীত জীবনের এক দুর্ঘটনার কথা। প্রসঙ্গত, শাহরুখ ও লালরুখের বাবা তাজ মহম্মদ খান ১৯৮১ সালে তিনি মারা যান। তার ১০ বছরের মধ্যে তাঁদের মা, লতিফ ফতিমা খান মারা যান। শাহরুখ জানান, বাবা ও মা-কে হারানোর পরে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন লালারুখ। এই লালারুখ হলেন তার দিদি।
যখন শাহরুখ খানের বাবা মৃত্যুর মুখে তখন শেহনাজ পুরো চুপ করে যান বাবার মৃত্যু দেখে। একটুও কাঁদেননি তিনি, এমনকি কথা পর্যন্ত বলেননি। এরপর হটাৎ মাটিতে পড়ে যান। তখনই মাথায় আঘাত লেগেছিল তার। এর পরে টানা দু’বছর শেহনাজ কেবল শূন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতেন। ফের মায়ের মৃত্যু। এ সমস্ত ঘটনা তাঁর শরীরে প্রভাব ফেলেছিল।
যখন তুঝে দেখা তো ইয়ে’ গানের শ্যুট চলছিল তখন শাহরুখের দিদি তার সঙ্গেই ছিলেন। শাহরুখ তাঁকে সুইৎজারল্যান্ডে নিয়ে আসেন চিকিৎসার জন্য। ওখানকার একটি হাসপাতালেই দিদিকে ভর্তি করান তিনি। চিকিৎসকরা হাত তুলে দেন। এরকম অসহনীয় পরিবেশেও রোম্যান্টিক গানের দৃশ্য চালিয়ে যেতে হয় কিং খানকে। তবে এখন কেমন আছেন তার দিদি?
শাহরুখ জানান যে তার দিদি বর্তমানে ভাল আছেন।পরিবারের সকলে তাঁকে খুব ভালবাসে। এমনকি তার থেকেও বেশি ভালবাসে। কিং খান জানান যে যন্ত্রণা লোকানোর জন্য তিনি মশকরা করেন, বলিউডের মোড়ক গায়ে চাপান। কিন্তু তার দিদি যে রকম সরল ভাবে জীবনটাকে যাপন করেন, সে ভাবে তিনি পারেননি, পারলে ভাল হত।