ভোটের প্রচারে একেবারে মাটির মানুষ দেব, সহজ কথায় মানুষের মন জিতলেন সাংসদ-অভিনেতা
দেব, দীপক অধিকারী টলিউডের ভালো অভিনেতা হিসেবই পরিচিত। অভিনয়ের পাশাপাশি সাত বছর আগে দিদির হাত ধরে রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন। সেই সময় তাঁর রাজনৈতিক পরিণতিবোধ সেরকম ছিলনা। তবে এই নিয়ে কম কটাক্ষ হয়নি তিনি৷ কিন্তু রাজনীতিতে পা রেখে ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ হয়ে ওঠার পর নিজের কাজ দিয়ে খুব স্বল্প সময়ে তিনি অনেকের প্রিয় হয়ে উঠেছেন।
সামনেই বিধানসভার ভোট। আর এই ভোট নিয়ে অনেক প্রার্থীর অনেক স্বপ্ন। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন। আর কিছুদিনের মধ্যে ভোটের লড়াই শুরু।এবারে অভিনয়ের ফাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুরের হয়ে ভোট প্রচারে এসে বিজেপি-কে নিশানা করলেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব। তৃণমূল কংগ্রেসের দলের আরেক সাংসদ সৌগত রায়কে সঙ্গে নিয়ে চন্দ্রকোনা এবং দাঁতনে দলীয় প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি।
ভোটের প্রচারে বেরিয়ে প্রত্যেকটি দলের মুখে একটাই কথা। খেলা হবে। মানুষের উন্নয়ন কি করে হবে এই নিয়ে কেউ কিছু বলছেনা এই নিয়ে অনেকের ক্ষোভ জন্মেছে। এবার এই গরমাগরম পরিবেশে যেখানে সকলে খেলায় মেতে উঠেছে সেখানে সাংসদ দেবের মুখে অন্য কথা শোনা গেল। তিনি সাধারণ মানুষের ভিড়ে সকলকে সহজ সরল ভাবে একটাই কথা বললেন, ‘ভালবাসলে মানুষ এমনিই ভোট দেবেন। তিনি আরো বললেন ‘আমার এমন কিছু বলা উচিত নয় যাতে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়৷ কারণ নেতাদের কিছু হয় না৷” আর ঝগড়া হলে তিনি যখন কাউকে বাঁচাতে পারবেননা তখন সেরকম কিছু বলার অধিকারও তার নেই।
তৃণমূল সাংসদের এমন ঠান্ডা মাথায় কথা বলে প্রচার দেখে দলের প্রার্থী থেকে সাধারণ মানুষ বেশ খুশি হয়ে পড়েছেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁর কোনও রাজনৈতিক অ্যামিশান নেই৷ এত কথা বলে মনে হয় না ভোট পাওয়া যায়৷ তিনি বরাবর রাজনীতিতে থেকে খারাপ কিছু বলেননি। তাঁর দল থেকে তো আমাকে সম্মান করাই হয়৷ বিরোধীরাও তাঁকে সম্মান করে৷ বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের তিন জায়গায় দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে যান ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব৷ রোড শো-ও করেন তিনি। তিনি সাধারণ মানুষের সাথে বলেছেন তৃণমূল সরকারের আমলের উন্নয়নের কথা৷
ভোটের প্রচারে আরো একটি কাজ করলেন। আট বছর পর তারকা ভাগ্নে নিজের বড় মামার বাড়িতে চন্দ্রকোনাতে গেলেন। ভাগ্নেকে কাছে পেয়ে খুব খুশি মামা মামি৷ দেবের প্রিয় খাবারগুলি রান্না করলেন তাঁর মামি মিতা মুখোপাধ্যায় । মধ্যাহ্নভোজের এলাহি আয়োজন ছিল। মেনুতে ছিল সাদা ভাত, শাকভাজা, আলুভাজা, উচ্ছেভাজা, পোস্তর বড়া, বেগুনভাজা, পটলভাজা, সোনামুগের ডাল, নবরত্ন, মাটন, চিকেন, রুটি। শেষ পাতে ছিল দই, মিষ্টি, ফ্রুট চাটনি। আর মামির হাতের রান্না পেয়ে ডায়েট ভুলে সব অল্প অল্প করে খেলেন সাংসদ দেব।