বসন্তের আগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে কোথায় দেখুন এক নজরে!
শীত বিদায় নিলেও সকালের দিকে হালকা শীতের হাওয়া বয়ে চলেছে এখন অনেক জেলাতেই। তবে এবছর শীত যেমন মাঘ মাস অব্দি দীর্ঘস্থায়ী ছিল, সেরকমই ফাল্গুনের শুরুতে চড়চড় করে পারদ বাড়তে থাকে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানিয়েছে, এবছরের শুরুতে যেমন ছিল শীত তেমনি সেরকম গরমেও রেকর্ড পড়বে। কথামতো তাই হচ্ছে। ক্যালেন্ডার বলছে বৈশাখ আসতে বেশ দেরী চৈত্র মাসে গরম তার খেলা দেখানো শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই রাজ্যের জেলায় জেলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছিল। রাতের দিকে, ভোরের দিকে শীতের আমেজ এখনও অব্যাহত।
সকালের দিকে হাল্কা ঠান্ডা অনুভব হলেও বেলা বাড়তে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সাথে মনোরম আবহাওয়া থাকলেও, বাংলার দক্ষিণের আবহাওয়া বেশ শুষ্ক হয়ে উঠেছে। সামনেই বাঙালির প্রিয় রঙের উৎসব আর তার আগেই তীব্র গরম সারা বাংলা জুড়ে। এই বসন্তে ঠান্ডা নয় বরং থাকবে তীব্র গরমের ছোঁয়া।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানিয়েছেন, রাজস্থানের উপর থাকা ঘূর্ণাবর্ত এবং অন্যদিকে থাকা পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তর রাজস্থানের বেশ কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুধুমাত্র ভারী বৃষ্টিপাত নয় , সেইসঙ্গে বাড়তি শিলাবৃষ্টি এবং তাপমাত্রা বেশকিছুটা কমে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঝঞ্ঝার কারণে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর-লাদাখের বেশকিছু জায়গায় তুষারপাত শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি থাকবে পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লীতেও বৃষ্টি হবে।
তবেবে বাংলায় এখনো কোনো বৃষ্টির আভাস দেয়নি আবহাওয়াবিদরা। আদৌ কবে আসবে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। বুধবার বেলার দিকে কলকাতা শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকালের দিকে মূলত রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ এবং রাতের দিকে আবছা আকাশ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এরপাশে সারা বাংলায় থাকবে অস্বস্তিকর আবহাওয়া। তীব্র রোদে আর গরমে সারা বঙ্গবাসীর প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। বৃষ্টির দিকে হা করে তাকিয়ে আছে বহুজন।