সোনু নিগম, একটা সময় বি টাউনের জান ছিলেন। তার রোম্যান্টিক গানের সিডি সেই সময় শ্রোতাদের বিভোর করে রাখে। বলিউডে রোম্যান্টিক গায়কদের মধ্যে সোনু ছিলেন প্রথম সারির একজন শিল্পী। এই তাকেই কিনা খুন করার হুমকি? তাকেই খুনের চেষ্টা?
শোনা যায় পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ফেঁসে যান সোনু। তিনি বিয়ে করেন ২০০২ সালে এক বাঙালী পরিবারের মেয়ে মধুমিতার সাথে। তাদের নিভান নামে একটি পুত্রসন্তান ২০০৭ সালে জন্মগ্রহণ করে।
কিন্তু, গন্ডগোল বাঁধে ২০০৫ থেকে। ওই সময়ে স্মিতা ঠাকরে সঙ্গেও সোনুর সম্পর্কের কথা শোনা যায়। যিনি কিনার বলিউডের প্রযোজক তথা অভিনেত্রী। এই পরিবারে নিত্য যাতায়াত ছিল সোনুর। এবং এই সোনুর জন্য স্বামী জয়দেব ঠাকরের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের কথাও ভেবেছিলেন স্মিতা। শোনা যায়, এসব কারণেই সোনুর সঙ্গেও বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী মধুরিমা। অবশ্য, পরবর্তীকালে মধুরিমার সঙ্গে সোনু তাঁর সম্পর্ক ফের ঠিক করে নেন।
এদিকে, বালাসাহেব ঠাকরের মেজো ছেলে জয়দেবের সঙ্গে স্মিতার বিয়ে হয় ১৯৮৬ সালে। কিন্তু সোনু নিগমের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক জড়িয়ে যাওয়ার জন্য তাঁদের দাম্পত্য ভেঙে যায় ২০০৪ সালে। অবশ্য, বিচ্ছেদের পরেও স্মিতা তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ির সঙ্গে থাকছিলেন। এই সূত্রেই ঠাকরে পরিবারের সঙ্গে সোনু নিগমের এক অন্যরকম সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু এতবছর পর কাদা ঘেঁটে লাভ কি? কথা হচ্ছে, পুরোনো চাল যেমন ভাতে বাড়ে তেমনই পুরোনো কাসুন্দি ভীষণ ঝাঁঝালো হয়।
নারায়ণ রানে, বহুবার দল পরিবর্তন করেছেন। শিবসেনা, কংগ্রেস ও বিজেপি তিন তিনবার দল পরিবর্তন করেছেন। ২০১৭ সালে তিনি শিবসেনার সমালোচনা করেন। সেইসময় এমন কথা ওঠে যে নারায়ণ রানে তার রাজনৈতিক কেরিয়ার প্রায় ১০ টির মতন খুন করে। ঠিক এর পরেই, নারায়ণ রানের ছেলে নীলেশ বলেন তাঁর মুখ না খোলানোই ভাল। ঠাকরে পরিবারের সঙ্গে সোনুর কী সম্পর্ক? কেন এবং কত বার সোনুকে খুন করানোর কথা ভেবেছিলেন বালা সাহেব ঠাকরে? এ সবই তিনি জানেন বলে দাবি করেন নীলেশ। অবশ্য, এই ব্যাপারে সোনুকেও সরাসরি এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি মুখে কিছু না বললেও অভিব্যক্তিতে অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন।