২০০৯ সালে অর্পণা আর সৈকতের ভালোবাসা সকলের ড্রয়িং রুমে পৌছে গিয়েছিল। এরা আজ নেই তবে এদের ভালোবাসা আজ ও বহু দর্শকের অন্তরে গেঁথে আছেন। ‘অগ্নিপরীক্ষা’ ধারাবাহিকের এই জনপ্রিয় জুটির চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন সোনালী চৌধুরি এবং ভাস্বর চ্যাটার্জি। আর এই জুটির কেমিস্ট্রি দর্শকের সামনে ফুটিয়ে তোলার পিছনে মূল কারণ ছিল এদের বন্ধুত্ব। আর এদের বন্ধুত্বের বয়স ২৩ বছর। হ্যাঁ অগ্নিপরীক্ষা ধারাবাহিক ছাড়া একাধিক ধারাবাহিকে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন সোনালী আর ভাস্বর।
অনেকে বলে টেলি ইন্ড্রাস্টিতে সেরকম নাকি ভালো বন্ধু হয়ে ওঠেনা। সকলেই নাকি একে ওপরের প্রতিপক্ষ। এই কথা যে সম্পূর্ণ ভুল তা এই দুই বন্ধুকে দেখলে বোঝা যায়। একে অপরের ভালো সময় হোক কিংবা খারাপ সময় সর্বদা আদর্শ বন্ধুর মতো পাশে থাকেন এরা দুজন। কিছুদিন আগেই সুখবর দেন অভিনেত্রী খুব শীঘ্রই মা হতে চলেছেন। প্রথম সন্তান আসার খবরে সোনালীর পরিবারের পাশাপাশি ইন্ড্রাস্টির বন্ধুরাও বেশ খুশি। অভিনেত্রীর কোল জুড়ে নতুন সদস্যা আসবেন জুন মাসে। এই সময় অভিনেত্রী কাজ থেকে ছুটি নিয়ে মন ভালো রাখতে অনেক গল্পের বই, গান শুনছেন। আর সাথে বন্ধুদের সাথে আড্ডাও দিচ্ছেন।
বাড়িতেই এখন যত্ন আর্তিতে আছেন অভিনেত্রী। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হবু মা ও মায়ের ভিতরে বেড়ে ওঠা সন্তানকে সাধ খাওয়ান বাড়ির বড়োরা আর বন্ধুরা। ব্যতিক্রম হয়নি সোনালীর ক্ষেত্রে৷ বর্তমানে অভিনেত্রী সব ডায়েট ভুলে মিষ্টি, নোনতা আরো হরেক রকম পছন্দের খাবার খাচ্ছেন। ভাস্বর আর সোনালী যে কত ভালো বন্ধু তা সকলেরই জানা। আর পছন্দের বন্ধুর এই সময় ভাস্বর স্বাদ দেবেনা তা কি করে হয় বলুন তো। তাই তো নিজে রান্না করতে না পারলেও মঙ্গলবার বিখ্যাত মিষ্টির দোকান বলরাম মল্লিকের থেকে সোনালীর জন্য মিষ্টি আর নোনতা খাইয়ে সাধ দিলেন। কাজে ব্যস্ততার মধ্যে বন্ধুর কাছে যেতে ভোলেননি অভিনেতা।
সবসময় আমরা সাধ খাওয়াতে মেয়েদের দেখেছি। এই প্রথম কোনো ছেলে সাধ খাওয়ালো তাঁর বান্ধবীকে। ২০২১ সালে চিরাচরিত প্রথা থেকে বেরিয়ে এক দৃষ্টান্ত করলেন ভাস্বর। বন্ধুর কাছে সাধ খেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছেন সোনালী। ভাস্বরের মতোই দোলন রায় সহ একাধিক বন্ধু অভিনেত্রীকে সাধ খাওয়াবেন। বন্ধু খাওয়ালে তো হবেনা তাকেও তো ভালোবেসে রিটার্ন গিফট দিতে হবে তাই তো অভিনেত্রীর মা নিজের হাতে লুচি, সাদা আলুর তরকারি, মিষ্টি জমিয়ে খাওয়ালেন ভাস্বর।
