বৌমা নয় শাশুড়ি চরিত্রেই বেশি মানাবে, ধারাবাহিক আসার আগেই সমালোচনার মুখে দেবশ্রী রায়
একটা সময় ‘কলকাতার রসগোল্লা’ দিয়ে বাংলার দর্শকদের মনে মিষ্টি নরম তুলতুলে সম্পর্ক তৈরি করেন দেবশ্রী রায়। ‘রক্তে লেখা’ ছবির ‘কলকাতার রসগোল্লা’ গানের মধ্যে দিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। এখন সেই জনপ্রিয় মিষ্টি নায়িকা ছোটপর্দার ‘সর্বজয়া’।
দেবশ্রীর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘হিরন্ময় সেনের পাগল ঠাকুর’ যা ১৯৬৬ সালে মুক্তি পায়। এরপর তরুণ মজুমদারের কুহেলী (১৯৭১) ছবিতে রাণুর চরিত্রে অভিনয় করার পরে তার পরিচিতির বিস্তার ঘটে। খুব কম বয়স থেকে দেবশ্রী মঞ্চে নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন। পরবর্তীকালে তিনি বন্দনা সেন এবং কেলুচরণ মহাপাত্রের কাছে ওড়িশি নৃত্যের তালিম নেন। এছাড়াও কেলুচরণ মহাপাত্রের প্রভাবে ভারতীয় লোকনৃত্যের প্রতি দেবশ্রীর ভালোবাসা জন্মে এবং ১৯৯১ সালে তিনি নটরাজ দল প্রতিষ্ঠা করেন এবং দলের প্রথম পরিবেশনা বাসবদত্তা মঞ্চস্থ হয়।
বাংলা চলচ্চিত্র জগতে দেবশ্রীর বহু অবদান রয়েছে। তিনি যেমন করেছেন উনিশে এপ্রিল, তেমন করেছেন ‘ত্রয়ী’, এবং আরও অন্যান্য সিনেমা এবং পুরাণকাহিনী মহাভারত অবলম্বনে দূরদর্শন সম্প্রচারিত ‘মহাভারত’ ধারাবাহিকে ‘সত্যবতী’র চরিত্রে।
কিন্তু, দীর্ঘদিন রাজনীতিতে থাকার পর ফের ছোটপর্দার হাত ধরে রুপোলি পর্দায় পা রাখেন। সর্বজয়া নামক ধারাবাহিকে লিড রোল প্লে করবেন। যদিও অনেকে শ্রীময়ী ধারাবাহিকের সঙ্গে তুলনা করেছেন।এমনকি কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম করি করে বলেন, ‘রূপ নিয়ে অহংকার কোরো না মাসি, ৯০ এর সেরা রসগোল্লাও আজ বাসি।’ অনেকের মন্তব্য, বৌমা নয় বরং বয়স অনুযায়ী শাশুড়ির চরিত্রেই তাকে ভালো মানাবে। যদিও এই মিমের বিরুদ্ধে বহ নেটিজেন বলেন, ‘একজন সম্মানিত অভিনেত্রীকে এ ভাবে অপমান করা উচিত হয়নি’, আবার কেউ কেউ বলেছেন উনি এখনও সুন্দর। একজন নেটাগরিক তো এই প্রশ্নও করেছেন, ‘উনি রূপের অহংকারটা করলেন কখন?’