সুন্দরী স্ত্রীর পাশে শ্যামলা বর, গায়ের রং নিয়ে ট্রোলের শিকার হন দক্ষিণী পরিচালক
শ্যামলা বর্নের কিশোর ছেলেটি সেদিন ভুল করেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপসী এক যুবতীর সঙ্গে ছবি দিয়ে। কিন্তু ভুলটা কি তার না ভুলটা সমাজের? সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেওয়া মানে শরীরের কোথাও কোনো খুঁত থাকবে না, যদি খুঁত থাকে সেটা এডিটিং এর মাধ্যমে সেই খুঁত চাপা দিয়ে একেবারে সুন্দর তরতাজা হয়ে সকলের সামনে ধরা দিতে হবে না হলে মানুষ খুঁত খুঁজে বেড়াবে।
আর শুধু তাই নয়, এমন অপমান করবে যে মানুষের শিক্ষা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ হবে। যে মানুষ তার শিক্ষার এত বড়াই করে সেই মানুষ কি করে শুধুমাত্র গায়ের রং কালো বলে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের অল্প বয়সী তরুণ প্রজন্মের এক সফল পরিচালককে নিয়ে কুমন্তব্য করতে পারে? তবে কি মানুষের মধ্যে এখনো বিন্দুমাত্র শিক্ষার আলো পৌঁছয়নি? অন্তত এই ঘটনাটি তো সেটাই প্রমাণ করছে।
ছেলেটি আর কেউ নয়, দক্ষিণী তামিল পরিচালক অরুণ কুমার ওরফে আটলী কুমার। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে কাজ শুরু করেন। ২০১৩ তে তিনি সকলকে উপহার দেন তার ব্লকবাস্টার ছবি রাজা রানী। প্রথম বারেই হয়ে যায় কেল্লাফতে, প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যবসা করেন ছবিটিতে। ২০১৭ সালে তার পরিচালিত চলচ্চিত্র নেই সেল প্রায় ২৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করে। এরপরে আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১৪ সালে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা দক্ষিণী চলচ্চিত্রের সুন্দরী নায়িকা কৃষ্ণা প্রিয়ার সঙ্গে বিবাহে আবদ্ধ হন। সমস্যার সূত্রপাত হয় এরপর থেকে। বিবাহিত নতুন দম্পতিরা যখন তাদের দুজনের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতে শুরু হয় তখন থেকেই শুরু হয় নানান রকমের ট্রোলিং।
নেট নাগরিকরা এদের দুজনকে ঠিকঠাক মতন চিনতে না পেরে বলতে থাকেন যে ছেলেটি হয়তো সরকারি চাকরি করে সেই জন্যই এমন সুন্দরী মেয়ে পেয়েছে কিংবা আইএএস অফিসার হলে এমন যুবতী খুব সহজেই পাওয়া যায়। সমাজের তথাকথিত শিক্ষিত মানুষ যতই অশিক্ষিতের মতন কথা বলুক না কেন, কৃষ্ণা প্রিয়া কিন্তু তাদের এমন ব্যাঙ্গার্থক কথায় এতটুকুও বিচলিত না হয়ে, তাদের উদ্দেশ্যে শুধু একটাই কথা বলেছেন, গায়ের রং দিয়ে কাউকে বিচার করতে নেই, বিচার করতে হয় তার কাজ দেখে। সবশেষে জয় হয়েছে ভালোবাসার। আজও রোগাসোগা শ্যামলা বর্নের ছেলেটার হাত শক্ত করে ধরে রয়েছে তথাকথিত সুন্দরী সেই যুবতী।