whatsapp channel

জন্ম থেকেই নেই হাত, পা দিয়ে এঁকেই বিশ্বকে তাক লাগালেন সাহসী কন্যা

রায়পুরের বাসিন্দা এক ছোট বালিকা ছোটবেলা থেকেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন হাতছাড়া। পা দিয়েই ছোটবেলা থেকে সমস্ত কাজ করতে সে অভ্যস্ত। যখন যা প্রয়োজন হয় তার সবকিছুই করতে পারে পা দিয়ে। চুল…

Avatar

HoopHaap Digital Media

রায়পুরের বাসিন্দা এক ছোট বালিকা ছোটবেলা থেকেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন হাতছাড়া। পা দিয়েই ছোটবেলা থেকে সমস্ত কাজ করতে সে অভ্যস্ত। যখন যা প্রয়োজন হয় তার সবকিছুই করতে পারে পা দিয়ে। চুল আঁচড়ানো থেকে শুরু করে পড়াশোনা করা এবং আঁকতেও পারে পা দিয়ে। কলেজে যাওয়ার জন্য নিজেকে চুল আঁচড়িয়ে তৈরি করা থেকে শুরু করে সমস্ত কাজ একাই করে সে।

জয়পুরের বাসিন্দা উনিশ বছরের দামিনী ছোটবেলা থেকেই জন্মগ্রহণ করেছিল দুই হাত ছাড়াই। তবে তার এই শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য তিনি নিজেকে কখনোই ঘরের মধ্যে আটকে রাখেননি। এই কন্যা প্রমান করে দিয়েছেন যে কিভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও নিজের মনের জোরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়।

এখনো পর্যন্ত তিনি আটত্রিশটি আঁকা এঁকেছেন তার পায়ের সাহায্যে। পড়াশোনা ছাড়া চিত্রশিল্পেই তার অনেক বেশি ঝোঁক রয়েছে। তাছাড়াও দশম শ্রেণীতে তিনি প্রায় এইট্টি পার্সেন্ট নম্বর পেয়েছেন। সমস্ত পরীক্ষায় তিনি দিয়েছেন তার পায়ে সাহায্যে। হাত ছাড়া কিভাবে পায়ের সহজে আঁকতে হয় এটি শিখিয়েছেন তার মা। সেই অর্থে বলতে গেলে তার মাই হলো তার একমাত্র শিক্ষক। পায়ের সাহায্যে স্কেচ পেন দিয়ে প্রথমে শেখা তার ওপরে আঁকিবুকি কাটছে বিষয়টি যখন তার মা-বাবার চোখে পড়ে তখন তারা বুঝতে পারেন যে দামিনী আঁকতে কত ভালবাসে।

তার হাত নেই বলে তার পরিবারের লোক কিন্তু তাকে কখনোই বোঝা হিসেবে ভাবেননি। সর্বদা তারা ভেবে এসেছেন ঈশ্বরের অসীম কৃপা, তাই তারা দামিনীকে পেয়েছেন। পড়াশোনা আঁকা ছাড়াও তিনি তার দুপায়ের সাহায্যের রান্নাবান্নাও করতে পারেন। দুই হাত থাকা সত্ত্বেও যারা ভাবেন যে কিভাবে নিজের জীবনকে সুন্দর করে তোলা যায় বা যারা নিজেকে নিয়ে কষ্ট পান তাদের জন্য এক আদর্শ হতে পারে দামিনী।

জীবন যে সবসময় নিজস্ব গতিতে সঠিক ভাবে চলবে তা নয়। কখনো কখনো জীবনে নানান রকম বাধা তৈরি হতে পারে তা হতে পারে জন্ম থেকেই অথবা পরবর্তীকালে কোন দুর্ঘটনায় জীবনের ছন্দপতন ঘটতে পারে। কিন্তু তা বলে পিছিয়ে আসলে চলবে না, নিজের স্বপ্নকে পূরণ করতেই হবে যেনতেন প্রকারেন। অন্তত উনিশ বছরের দামিনী সেটাই প্রমাণ করে দেখিয়েছে, তার পা দিয়ে লেখাপড়া করা দেখে অনেকেই ব্যাঙ্গার্থক সুরে হেসেছেন কিন্তু কোনো কিছুতেই পাত্তা না দিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করার উদ্দেশ্যে ছুটে চলেছে দামিনী।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media