দেহরক্ষী হওয়ার বাসনা সাধারণত ছেলেদের একটু বেশি থাকে। যখন সে ছোট্ট থাকে তখন সে বীরপুরুষের মতন মায়ের রক্ষা করে আবার যখন সে বড় হয় তখন গোটা পরিবার সহ তার স্ত্রীর। হয়তো প্রকৃতির এটাই নিয়ম। একজন মানুষ যখন খুব মূল্যবান হয়ে ওঠে তখন তার দরকার হয় দেহরক্ষীর। মা ছেলের সম্পর্ক বা স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে দেহরক্ষী একদম উচ্চমূল্যের, তাই এই কাজ টাকা দিয়ে হিসেব হয়না। কিন্তু যখন ব্যাবসায়িক ক্ষেত্রে দেহরক্ষীর প্রয়োজন হয় তখন ব্যাপারটা টাকা দিয়েই হিসেব হয়।
আমাদের আজকের কাহিনীতে রাজা হলেন অক্ষয় কুমার এবং তার প্রধান সেনাপতি হলেন তার বডিগার্ড অর্থাৎ দেহরক্ষী শ্রেয়াস থেলে। অক্ষয়ের বডিগার্ড শ্রেয়াস সর্বদা তাকে চোখে চোখে রাখে। কেবল অক্ষয়কে নয় আগলে রাখে তার ছেলে কেও।
ভাবছেন অক্ষয় নিজেই কত স্ট্যান্ট জানেন, ক্যারেট জানেন, এরপরেও তার দেহরক্ষীর প্রয়োজন হয়! আরে মশাই সিনেমার পর্দায় অ্যাকশন হিরো বলে তো আর রিয়েল লাইফে ঘুষি, থাপ্পড় দিতে পারেন না যে কাউকে। উল্টে তিনি নিজে যাতে জনতার ভিড় এবং অনুরাগীদের পাহাড় সমান ভালোবাসা থেকে সামলে রাখতে পারেন তার জন্যেই বডিগার্ড রাখা।
বলিউডের প্রায় সকল অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিজস্ব দেহরক্ষী আছে যারা বাইরের সমস্ত প্রতিকূলতা থেকে তার মনিবকে রক্ষা করে। এই দেহরক্ষীরা ক্যারেট জানেন, এদের কমিউনিকেশন পাওয়ার দুর্ধর্ষ হয়, এবং এরা কোনো সংস্থার পি আর এর সঙ্গেও প্রয়োজনে যোগাযোগ করে। এইসমস্ত দেহরক্ষীদের বেতন খুবই আকর্ষণীয় হয়। আমাদের গল্পের আজকের হিরো হলেন অক্ষয় কুমার, যার দেহরক্ষীর বার্ষিক বেতন হল প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।