করোনা অতিমারীতে এমনিতেই মানুষের ফুসফুস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিকল হচ্ছে গোটা শ্বাসযন্ত্র। অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত মানুষ, ঠিক এরপরেও পদ্মার সুন্দরী জয়া আহসান (Jaya Ahsan) বলেছেন তোমাদের ফুসফুস পচে যাক! কেন অভিনেত্রী মৃত্যু কামনা করলেন?
জয়া আহসান একজন প্রতিষ্ঠিত, দক্ষ ও রুচি সম্পন্ন অভিনেত্রী। তার মুখে এমন শব্দের পিছনে রহস্য কী? সম্প্রতি গেল বিশ্ব পৃথিবী দিবস world earth day, এদিন অভিনেত্রী সকাল ৮টা নাগাদ তার আবাসনের ছাদে ওঠেন। আর ছাদে উঠেই অবাক তিনি।
চারিদিক ধুলোর আস্তরণে ঢাকা। কিছুই স্পষ্ট নয় । তিনি একটুও দেরি না করে চারিদিকের ভিডিও নেন এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, “ভিডিও টা গতকাল সকাল ৮ টার,ছাদে উঠেই থমকে গেলাম। যেন অবিকল কোনো ডিস্টোপিয়ান সায়েন্স ফিকশনের সেট পড়েছে শহরজুড়ে। ধোঁয়া ধোঁয়া, চারপাশে সব অস্পষ্ট। ধুলো আর ধোঁয়া মিলে ধোঁয়াশার পেটে পুরো শহর। চোখ বেশি দূর চলে না। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। হায়, আমার শহর।”
রাগে জর্জরিত জয়া এও লেখেন, “আমাদের যেন গলা থেকে পশ্চাৎদেশ ,শরীরের পুরোটাই পাকস্থলি। খিদের শেষ নেই। খালি বড় করে কামড়ে ধরো আর খাও। পরিবেশের বারোটা বাজল তো আমার কী হলো! ইঁট পোড়ানো ধোঁয়ায় আমরা শহর ডুবিয়ে দেব। আপনি বাঁচলে বাপের নাম। উন্নয়ন কাজের ধুলোয় অন্ধকার করে দেব দেশ। আর কোনো দেশে কি উন্নয়ন হচ্ছে এত?দম বন্ধ হয়ে এলেও, ফুসফুস ঝাঁঝরা হয়ে গেলেও ‘উন্নয়ন’এর নামে পরিবেশ দূষণ যে থামবে না এ হেন আত্মপলব্ধিতেই জয়ার পোস্টের শেষ দুটি লাইন, “তোমাদের ফুসফুস পচে যাক। তোমাদের দম বন্ধ হয়ে আসুক। একদিন তোমরা সবাই মরে যাও। এই শহর বেঁচে থাকবে, একাই। বাবা, এর নাম উন্নয়ন। হায়, আমার শহর!”
প্রিয় শহরকে ধুলোর সাম্রাজ্যে এভাবে ডুবে যেতে দেখে শঙ্কিত তিনি। প্রচণ্ড রাগ নিয়ে বলেন, “তোমাদের ফুসফুস পচে যাক। তোমাদের দম বন্ধ হয়ে আসুক। একদিন তোমরা সবাই মরে যাও। এই শহর বেঁচে থাকবে, একাই। বাবা, এর নাম উন্নয়ন। হায়, আমার শহর!” নাহ কোনো নেটিজেন কু মন্তব্য করেনি। বরং জয়ার রাগের কারণ বুঝেছেন সকলে। যদিও একথা সত্যি যে পৃথিবী ভীষণ অসহায় আজ। আমরা কি আজ পৃথিবীর যত্ন নিতে পারি না?