বলিউডের শিরোনামের সবসময় শীর্ষে জায়গা করে বলিউডের স্টাইল আইকন করিনা কাপুরের নাম। পতৌদির নবাব সইফ আলি খান এবং নবাব বধূ করিনা কাপুর খান সবসময়েই লাইমলাইটের শিরোনামে থাকেন। তিনি আবার দুই পুত্রের মা। যতই তিনি মা হোক তাঁর গ্ল্যামার কোনোদিন কমেনি বরং দিন দিন বেড়েই গিয়েছে। তা অভিনেত্রীর রুপ দেখলেই বোঝা যায়। ২০০০ সালে রিফিউজি চলচ্চিত্র দিয়ে এই সকলের প্রিয় বেবো বড় পর্দায় অভিষেক করেন। এরপর ২১ বছর অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে এখনো দাপটের সাথে একের পর এক হিট সিনেমাতে কাজ করে চলেছেন করিনা কাপুর খান।
করিনা কাপুর খান অভিনীত ‘হিরোইন’ ছবি বেশ জনপ্রিয় হয়। সাল ২০১১ বিখ্যাত পরিচালক মধুর ভান্ডারকরের এই একই ছবিতে অভিনয় করছিলেন ঐশ্বর্য। কিন্তু এরপর এমন কি হওয়াতে এই ছবির হিরোইন হয়ে যান বেবো। সম্প্রতি এই নিয়ে কথা বলেছেন করিনা কাপুর খান নিজেই। একটি সাক্ষাৎকারে নিজের বলিউড সফর, সাফল্য, অসুবিধা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন করিনা কাপুর।
মধুর জানিয়েছিলেন, ঐশ্বর্যই নাকি ‘হিরোইন’ সিনেমার প্রথম পছন্দ ছিল। ঐশ্বর্য এই সিনেমায় অভিনয় করার জন্য রাজীও ছিলেন। কিন্তু সেই সময় অভিনেত্রী নাকি তার গর্ভাবস্থার কথা গোপন করে ছবিতে শ্যুটিং করতে শুরু করেছিলেন। তারপর একটানা ৬৫ দিন শ্যু টিং করার পর ঐশ্বর্যর গর্ভাবস্থার কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। আর এই ছবিতে একটি শটে নগ্ন দৃশ্যের শ্যুট ও ছিল যা করার আপত্তি ছিল ঐশ্বর্যর। এরপর অভিনেত্রীর প্রেগন্যান্সির কথা সকলের সামনে আসতেই পরিচালককে এর জন্য বিশাল ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল।
এরপরই পরিচালক মশাই এই ছবির জন্য বেবোকে সাইন করেন। এই ছবির জন্য প্রথম করিনাকে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছিল এবং সেই নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ই এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয় এই সেই ভিডিও।এই ছবির পর আর কখনই এই ধরনের চরিত্রে করিনাকে দেখা যায়নি। করিনা হিরোইন একমাত্র ছবি যেখানে শ্যুটের জন্য সম্পূর্ণ নগ্ন হতে হয়েছিল তাকে। যা সেইসময় হিট হলেও সেই মুহূর্তে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল বলিউডে একাংশে। সমালোচিত হয়েছেন।
তবে নিজের অভিনয়ের দিক দিয়ে যুক্তিসঙ্গত রাখতে তিনি জানিয়েছিলেন, দর্শক হয়তো তাঁকে আমাকে এই ভাবে দেখতে প্রস্তুত ছিলেননা। কিন্তু আমি আমার সেরাটা দেওয়ার জন্যই ১০০ শতাংশ দিয়েছেন। আর এই সিনেমায় তিনি অভিনয় করার জন্য নিজের জন্য তিনি গর্বিত ছিলেন। অনেকে অনেক কিছু বলতেই পারে তবে তিনি তাঁর বেস্টটা দিতে পেরে সবথেকে খুশি। তিনি আরো বলেন এই সিনেমায় নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে তিনি প্রচন্ড গর্বিত। এবং তিনি ভালবেসে এটা করেছিলেন। ছবিতে যে অন্ধকার দিকগুলি দেখানো হয়েছে তা তিনি সাহসের সঙ্গেই ক্যামেরার সামনে ফুটিয়ে তুলেছেন।