এখনও কোর্ট টক্সিক দাম্পত্য থেকে রেহাই দেয়নি। অথচ, দুজনের রসায়ন এতটাই শক্তিশালী যে ঘর বেঁধেছে দুজন। মাথায় সিঁদুর নিয়েই স্বামী স্ত্রীর মতন জীবন যাপন দুই ভিন্ন মেরুর। বুঝতেই পারছেন কারা এঁরা। একটা সময় গম্ভীর সমাচনার মুখোমুখি হতে হয় শোভন-বৈশাখীকে। আবারও, শোভন-বৈশাখীর প্রেম চর্চায়। সম্প্রতি, একটি খবর হওয়ায় উড়ছে। এক ভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বৈশাখী সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এমন কিছু বলেন যার দরুন শোভন-বৈশাখীর প্রেম (Sovan-Baisakhi Relationship) আরও একবার চর্চার খাতায়।
এই সময়ে দাড়িয়ে চ্যাটার্জী-ব্যানার্জির প্রেম আধুনিক জগতের রোমিও জুলিয়েটের থেকে কম নয়। নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বেশ চাঁচাছোলা শব্দে বৈশাখী ওই সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘হয়ত খুব নাটুকে লাগতে পারে, তবে আমার কাছে ভালোবাসার অর্থ হল শোভন। যে ভালোবাসার প্রতি আমি আস্থা হারিয়েছিলাম। একটামাত্র লোক…. নিজের জীবন দিয়ে, যে কোনও কথায় আমাকে ভোলায়নি। শোভন আমাকে কোনওদিন সেরকম রোম্যান্টিক কথা বলেনি, তবে শোভন আমাকে প্রতিদিন ভালোবাসে, জীবন-যাপনের মধ্যে বাসে এবং নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে’।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর সময় থেকে বৈশাখীকে বহুবার কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছে। অনেকেই তাদের সম্পর্ককে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছে, কেউ কেউ কটু কথায় আক্রমণ পর্যন্ত করেছেন। তা তা থৈ থৈ নাচ নিয়ে এখনও এই দুজন হাসির খোরাক হয়ে ওঠেন।এই প্রসঙ্গেও বৈশাখী কড়া শব্দে বলেন, ‘আমি যদি শোভনের সঙ্গে নাচ করে থাকি, সেটা কোনও গণহত্যার মতো পাপ নয়, কঙ্কালকাণ্ডের মতো লজ্জাজনক ঘটনা নয়। নন্দীগ্রামের গুলি চালোনার মতো লজ্জাজনক ঘটনা নয়’।
নাহ, এখানেই শেষ নয়। বৈশাখীর কথায় একবার এক কাউন্সিলরের সঙ্গে তার এক অনুষ্ঠানে দেখা হয়। সেই কাউন্সিলর নাকি বৈশাখীর কথা পর্যন্ত বলতে চায়নি। উল্টে বৈশাখকে বলেন -‘আই অ্যাম নট চিপ লাইক ইউ’। ঠিক সেই সময় এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বৈশাখী দেবী ওই কাউন্সিলরের উদ্দেশ্যে। বৈশাখী তৎক্ষণাৎ ওই মহিলা কাউন্সিলরকে জানান,’একটু দম নাও। মনে রেখো তোমার নগ্ন ছবিগুলো এখনও প্রেজেন্ট রয়েছে। তুমি যদি সতী হও, আমি তার চেয়ে অনেক বেশি সতী। আমাকে কোনওদিন নগ্ন ছবি মন্ত্রী বা এমএলএ-র কাছে পাঠিয়ে টিকিট পেতে হয়নি’।