ছোট থেকে যাকে এক নারী কোলে পিঠে করে বড় করে তোলে তাকেই নিজেরসন্তান হিসেবে ভাবতে ভালো লাগে। নিজের পেটের সন্তানের থেকে এরা সবচেয়ে বেশি আপন হয়। আর জন্ম না দিয়েও মা হওয়া। মানুষ হোক কিংবা সারপেয় সকলেরই একটি মন আছে। আর মন থেকেই মা হওয়া যায়। একটা ছোট্ট সারপেয় প্রাণীকে দত্তক নিয়ে বাড়ি আসার পর তাকে নিজের সন্তানের মতো আদর যত্ন করে বড় করে তোলা হয়। সেরকমই দুটি কুকুর ছানাকে নিজের সন্তানের মতো মানুষ করেছেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। একজনের নাম ম্যাক্স, অন্যজনের নাম চিকু।
চিকু ছিল অভিনেত্রীর বড় আর আদুরে ছেলে। আজ চিকু নেই। ক্যান্সারে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সে মারা গিয়েছে। বহুদিন ধরেই ক্যান্সারের চিকিৎসা করাচ্ছিলেন মিমি। তার প্রিয় সন্তানসম পোষ্যকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে ছুটে গিয়েছিলেন চেন্নাইতে। কোনো খামতি নেই। সেখানে তামিলনাড়ুর ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর ডক্টর এস বালাসুব্রহ্মণ্য মিমির পোষ্যের চিকিৎসা করছেন। সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছিল মা ছেলে। তবে শেষ রক্ষা হল না। মাকে ছেড়ে সন্তান চিকু না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছে।
ক্যান্সার জিতে গেলো চিকু হেরে গেল। চিকুর বিদায়বেলায় মিমির দুটি ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি চিকুর ছবি। অন্যটি চিকুকে কবর দেওয়ার। দুটি ছবি কোলাজ করে শেয়ার করে সাথে মিমি লিখেছেন, আমার হৃদয়ের একটা অংশ তুমি নিজের সঙ্গে করে নিয়ে গেলে। সমস্ত কষ্ট শেষ। এবার তুমি বিশ্রাম নাও। মা তোমাকে ভালোবাসে।
View this post on Instagram
ম্যাক্স কাছে আছে নেই শুধু চিকু। তবু মায়ের মন কি মানে। বড় সন্তানের কষ্টে মায়ের চোখে আসে জল। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে ছেলের সাথে কাটানো নানান ছবি শেয়ার করছেন মিমি। কখনো চিকুর সাথে ছাদে খেলছেন তো কখনো আদর করছেন। তবে এখন সে চলে গেলেও অভিনেত্রী মনে মনে বিশ্বাস করেন, পরে কখনো চিকুর সাথে অভিনেত্রীর দেখা হবে। সম্প্রতি অভিনেত্রী নিজের ইন্সটাস্টোরিতে লিখলেন চিকুর উদ্দেশ্যে আবেগঘন লেখা পোস্ট করলেন। যেখানে লেখা আছে, ‘চলে যেতে দিলেও এখনও তোমাকে ভালবাসি’। চিকুর জায়গা কোনোদিন কেউ নিতে পারবেনা।