whatsapp channel

বিয়ের পরেও চুটিয়ে অভিনয়, সামাল দিয়েছেন সর্বত্র, সাফল্যের অপর নাম মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়

একদিকে কলকাতা বইমেলায় সাবিত্রী বাঁদরের খেলা দেখাতো, অন্যদিকে রাসমণি অকাল বৈধব্যের শিকার। ভাইদের সংসারে থাকেন, সম্বল বলতে পাঁচশত ভরি গয়না। আবার গগন ও তার বন্ধুর সঙ্গে একদিন সাবিত্রীর দেখা হয়। গগন…

Avatar

HoopHaap Digital Media

একদিকে কলকাতা বইমেলায় সাবিত্রী বাঁদরের খেলা দেখাতো, অন্যদিকে রাসমণি অকাল বৈধব্যের শিকার। ভাইদের সংসারে থাকেন, সম্বল বলতে পাঁচশত ভরি গয়না। আবার গগন ও তার বন্ধুর সঙ্গে একদিন সাবিত্রীর দেখা হয়। গগন সাবিত্রীকে লেখাপড়া শেখানোর দায়িত্ব নিতে চান। কিন্তু সাবিত্রী প্রথমে রাজি হয় না। এরপর এক রাতে পিতৃমাতৃহীনা সাবিত্রীকে তার কাকা মদের টাকার জন্য একটি লোকের কাছে বিক্রি করে দেয়, সাবিত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। তারপর অবলকান্তের কাছ থেকে সে গগন সেনের ঠিকানা জোগাড় করে। সাবিত্রী তার বাড়িতে আশ্রয় নিলে চিত্রা চলে যান তার ব্যারিস্টার দাদুর বাড়িতে।

দুটো গল্প বাংলায় আজকেও হিট। একটি ওগো বধূ সুন্দরী, অন্যটি গয়নার বাক্স। আর এই গয়নার বাক্সর জন্য পুরস্কার পর্যন্ত পেয়ে যান তিনি। বুঝতেই পারছেন এই দুটি সিনেমায় একটি মানুষ ভীষণ কমন, আর তিনি হলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।

তরুণ মজুমদারের ‘বালিকা বধূ’,শরৎ সাহিত্যের চলচ্চিত্র রুপায়নে ‘পরিনীতা’ হয়েছেন তিনি। ১৯৬৭ র বালিকা বধূ করে কম বয়সে যেমন সম্মান পান, তেমনই বুড়ো বয়সে ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার পান।

মৌসুমী এমনই একজন অভিনেত্রী ছিলেন যিনি বাংলা হিন্দি দুই মাত করেছিলেন তার রূপ ও গুণের ছটায়। পরিনীতা করার পরেই বিয়ের পিড়িতে বসেন মৌসুমী। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের পুত্রবধূ হয়ে ওঠেন।এরপর শ্বশুর মশাইয়ের হাত ধরেই আরব সাগরের তীরে আসর বসান‌ মৌসুমী। শক্তি সামন্তের ‘অনুরাগ’ দিয়ে বলিউড যাত্রা তার। শুরুতেই সুপার হিট তিনি। এরপর একের পর এক বহু হিন্দি ছবি করেন তিনি এবং কো স্টার হিসেবে পান রাজেশ খান্না,অমিতাভ বচ্চন থেকে সঞ্জীব কুমারের মতন বড় মাপের অভিনেতাদের।

মৌসুমী, ‘রোটি কাপাড় অউর মাকান’ র জন্য সহ অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ারে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এছাড়াও, অমিতাভ ও দীপিকা অভিনীত ‘পিকু’ ছবিতে তিনি শেষ বারের মতন অভিনয় করেন। বলিউডে নিজেকে প্রমাণ করার পাশাপাশি বাংলাতেও বহু কাজ করেছেন তিনি। অপর্ণা সেনের ‘দ্য জাপানিজ ওয়াইফ’, ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’, ‘নাটের গুরু’, বৌঠান, শতরূপা’র মতন বহু ছবিতে অভিনয় করে গেছেন। মৌসুমী তিনি ১৯৭৩-১৯৮৪ পর্যন্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকগ্রহণকারী হিন্দি অভিনেত্রী ছিলেন। এখন বয়স হয়েছে। পর্দায় দেখা যায়না তাকে। কিন্তু একটা সময় তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। অবশ্য শিল্পীরা বুড়ো হননা, তাদের শুধু সংখ্যা বাড়ে। আজও ওগো বধূ সুন্দরী দেখলে মনে হয় এইতো মৌসুমী কি লাবণ্য, চঞ্চল, সুন্দরী। হ্যাঁ, তিনি তো সুন্দরী বটে, পাশাপাশি একজন দক্ষ অভিনেত্রী। আজ তার জন্মদিন। অনেক শুভ কামনা মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের জন্য।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media