ভারতের বেলাগাম করোনা সমাজকে দিশাহীন করে দিয়েছে। অক্সিজেনের সঙ্কট , বেডের ঘাটতি সমাজকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। মুম্বইয়ে এই মুহূর্তে চলছে আংশিক লকডাউন। লকডাউনের ফলে মুম্বইয়ে জারি হয়েছে শুটিং বন্ধ করার নির্দেশিকা। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিল্পীদের হাতে কাজ নেই। এই পরিস্থিতিতে ফাঁপড়ে পড়েছেন অভিনেতা অতুল ভিরকর (Atul virkar)।
অতুল হিন্দি ও মারাঠি ধারাবাহিকের পরিচিত মুখ। সব টিভির জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ -য় অভিনয় করেছেন অতুল। একসময় অনেক লড়াই করে জীবনে সুখের মুখ দেখা অতুলের জীবনে আবারও নেমে এসেছে অন্ধকার। অতুল জানিয়েছেন, তাঁর একমাত্র পুত্রসন্তান AHDS (allan-herndon-dudley syndrome)। বিশ্বে মাত্র চারশো জন শিশু এই বিরল অসুখে আক্রান্ত। এই অসুখে আক্রান্ত শিশুদের কোনো কর্মক্ষমতা থাকে না। এমনকি তারা উঠে দাঁড়াতেও পারে না। অতুল জানিয়েছেন, ভারতে এই অসুখের চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। একমাত্র নেদারল্যান্ডসেই এই বিরল অসুখের চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু এই চিকিৎসা যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ। সন্তানকে নেদারল্যান্ডস নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য যে অর্থের প্রয়োজন, এই মুহূর্তে কাজের অভাবে তার ন্যুনতম অর্থও নেই অতুলের কাছে। অভিনয়ের পাশাপাশি পৌরোহিত্য করেন অতুল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে সন্তানের সুরক্ষার জন্য অতুলকে বাইরে গিয়ে কাজ করতে বারণ করেছেন চিকিৎসক। অতুল জানালেন, ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু তাঁরা যে অর্থ সাহায্য করছেন তা অতুলের সন্তানের চিকিৎসার পক্ষে যথেষ্ট নয়।
ছোট থেকেই অভাবকে সঙ্গী করে বড় হয়ে ওঠা অতুল জানিয়েছেন, পেটের দায়ে কখনও তিনি সংবাদপত্র বিক্রি করেছেন, কখনও বা বিক্রি করেছেন ধুপকাঠি, পাঁপড় ফেরি করেছেন অতুল। অডিশনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে হিন্দি ও মারাঠি টেলিভিশনে কাজ পেতে শুরু করেন অতুল। তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হতে শুরু করে।
কিন্তু এই মুহূর্তে কর্মহীন হলেও নিজের সঙ্কল্পে অটুট রয়েছেন অতুল। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের একমাত্র সন্তানকে সুস্থ করে তুলবেন তিনি।