Hoop Story

১৫ বছর বয়সেই গবেষণা, মাধ্যমিক দেওয়ার বয়সে পিএইচডি করে তাক লাগালো খুদে

মাত্র ১৫ বছর বয়সে এমন একটা কাজ করে ফেলেছেন যা দেখে গোটা বিশ্ব একেবারে থ হয়ে গেছে। জীবন যে ছেলেপুলেরা মাধ্যমিকের গণ্ডি সবে পেরোয় বা মাধ্যমিক দিতে বসে সেই বয়সেই গবেষণা করে সকলের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন ছোট্ট এক যুবক। এখন গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তার এই হরেকরকম কান্ডের ঘটনায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কিশোর এর এমন কাণ্ড কারখানায় প্রত্যেকেই অবাক হয়েছেন। ৭ বছর বয়সে যখন অন্যান্য ছেলেপেলেরা স্কুলের মধ্যে ছোটাছুটি করে তখনই সে কলেজের মধ্যে ভর্তি হয়েছেন। মাত্র একটা কলেজে নয় একসঙ্গে তিন তিনটে কলেজে। তিনি ভর্তি হয়েছেন মাত্র ১৪ বছর বয়সেই। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একেবারে চুকিয়ে দিয়ে ভর্তি হয়েছেন গবেষণায়।

না এটা কোন গল্প কথা নয়, সত্যিই ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। বায়োকেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং এ স্নাতক ডক্টরেট হিসাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই বিস্ময়কর বালক এর তানিষ্ক আব্রাহাম। শুধু তাই নয়, একটার পর একটা আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বের চোখ একেবারে কপালে তুলে দিচ্ছে এই ছোট্ট যুবক। সে ইতিমধ্যেই আবিষ্কার করে ফেলেছে কিভাবে পুড়ে যাওয়া রোগীর শরীরের কোন অংশের স্পর্শ না করেই হূদযন্ত্রের গতিবিধি মাপতে পারা যায় এমন যন্ত্র। তার এই অসাধারণ আবিষ্কার গোটা বিজ্ঞানীমহলে রীতিমত হইহই শুরু করে দিয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা হলেও আব্রাহাম কিন্তু আদতে একজন ভারতীয় ভারতের কেরালার বাসিন্দা তারা। তার পিতা একজন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, মা পেশায় একজন পশু চিকিৎসক। দাদু ঠাকুমা ও পেশায় পশু চিকিৎসক ছিলেন। তাই ছোটবেলা থেকেই বেশ শিক্ষার পরিবেশেই বেড়ে ওঠা তানিষ্ক এর। নার্সারিতে পড়ার সময়ে তিনি উঁচু ক্লাসের নানান ধরনের জটিল অংকের ধাঁধা সমাধান করে ফেলতেন কয়েক নিমেষের মধ্যে।

ছোটবেলা থেকেই তাঁর এমন অসাধারণ ক্ষমতা দেখে তার মা-বাবা বুঝতে পেরেছিলেন আর পাঁচটা ছেলের মতন তাদের সন্তান নয়। তাই অনলাইনে কলেজে পড়ার সুযোগ করে দেন মাত্র ৭ বছর বয়সেই। আর এই সাত বছর বয়সেই তিনটি কলেজ থেকে ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হয়ে যায় তার ছেলে। তবে বড় হয়ে তানিষ্ক ক্যান্সারের মতন মারণ রোগের সাথে লড়াই করার জন্য গবেষণা করতে চায়। তার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো দেশের সমস্ত ক্যান্সার রোগীকে সারিয়ে তোলা।

Related Articles