Unknown Fact: পুজোর দিন নদীর জলে টাকা ছুঁড়ে ফেলেন, জানেন এই পিছনেও রয়েছে এই বৈজ্ঞানিক যুক্তি!
আমার এই পৃথিবী শুরু থেকেই বৈচিত্র্যময়। আমাদের জন্মের আগেট সময়ের বৈচিত্র্য আমরা খুঁজে পাই আগেকার মানুষের লিখে যাওয়া নানা বই ও পুঁথিতে। আগেই যেমন আমাদের এই পৃথিবীর বুকে ঘটে যেত কত ঘটনা, তেমন আজো পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কত না কিছু ঘটে যাচ্ছে। কত আজব ঘটনা, তার কোনো হিসেবে নেই। নানা মজার গল্প, বিস্ময় কাহিনি লুকিয়ে রয়েছে পরত পরতে। কত রীতি-নীতি, যা মানুষকে ভাবিয়ে তোলে। কত কিছু আবার আমাদের অবাক করে তোলে। আর এই কারণেই তো এই বৈচিত্র্যময় পৃথিবী ছেড়ে নেটে চায়না মানুষ।
আমাদের চারপাশে এমন কিছু রীতিনীতি রয়েছে, যা আমরা পূর্বপুরুষদের মুখে শুনে আজো সেগুলিকে পালন করে যাই। এর মধ্যে অন্যতম হল আমাদের বিয়ের রীতিনীতি। নানা ধর্মের বিয়ের নীতি আলাদা, তেমনই সব সম্প্রদায়ের বিয়ের রীতি একরকম নয়। একইভাবে অন্নপ্রাশন, উপনয়ন, পরলৌকিক কাজ সহ আমাদের রোজকার জীবনে এমন অনেক রীতিনীতি আমরা মেনে চলি, যা আমাদের পূর্বপুরুষেরা বানিয়ে গেছেন একটা সময়। সেই কারণেই তাদের উপর বিশ্বাস রেখেই এগুলিকে মেনে চলি আমরা।
আর এখনো, একটি প্রাচীন কালের রীতি হল নদী বা পুকুরে টাকাপয়সা ফেলার রীতি। এখনো অনেক রাজ্যে দেখা যায় এই রীতি। বিভিন্ন শুভকাজের আগে এমন রীতি রয়েছে অনেকের। আবার অনেকেই বছরের বিশেষ কোনো দিনে জলে টাকা ভাসিয়ে দেন। কিন্তু এর বৈজ্ঞানিক কোনো কারণ না জেনেই আমরা এটি করি। কেউ এর কারণ হিসেবে বলে থাকেন যে প্রকৃতিকে সম্মান জানতেই এমনটা করা হয়। আবার অনেকের মতে, জলদেবতা এর কারণে তুষ্ঠ থাকেন।
তবে শুনলে অবাক হবেন যে এই রীতির পিছনে রয়েছে এক বৈজ্ঞানিক কারণ। আগেকার দিনে পুকুর বা নদীর জলকেই পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করতো মানুষজন। আর তা আমাদের শরীরের পক্ষে ভীষণভাবে উপকারী। সেই কারণে জলের সঙ্গে তামার সংস্পর্শ বৃদ্ধি করতেই যদি বা পুকুরের জলে তামার কয়েন ছুঁড়ে ফেলার রীতি ছিল সেই সময়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তামার কয়েন জায়গা ককরে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। কিন্তু এই রীতি রয়ে গেছে কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই।