Bengali SerialHoop Plus

‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে অনুকরণ করছে ‘মিঠাই’, সত্যি কি তাই!

বাংলার দর্শকদের কাছে সন্ধ্যা মানেই স্বপরিবারে টিভির সামনে বসে বসে সিরিয়াল গলাধঃকরণ করা। বেশ কিছু বছর ধরে বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। একের পর এক স্লটে একেক রকমের গল্প নিয়ে হাজির হন পরিচালকরা। সংসারিক কূটকচালি থেকে, রোম্যান্স, আত্মজীবনী মূলক, নানান স্বাদের গল্পের পর্ব থাকে একেকটা সময়ে। যারা ঘরের কাজ সারাদিন করেন, তাদের কাছে বিকেল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বিনোদনের টাইম। এই সময় ঘরে ঘরে চলে টিভি সিরিয়াল। আগেকার দিনে সন্ধ্যা মানেই পড়াশুনো, টিফিন খাওয়া বা টুকটাক গল্প। কিন্তু এখন পড়াশুনোর পাশাপাশি শুরু হয়েছে টিভি দেখার চাহিদা। তারমধ্যে, গল্প যদি একবার মনে ধরে যায় তবে তো আর রক্ষে নেই। সোশ্যাল মিডিয়া খুলে সেই ধারাবাহিকের ফ্যান পেজ খুলে, কমেন্ট বক্সে ভুরি ভুরি কমেন্ট করে একাকার।

সেরকমই দর্শকদের বিচারে এই মুহূর্তে সেরা ধারাবাহিক যাচ্ছে ‘মিঠাই’। দর্শকরা মোদক পরিবারের গল্প পছন্দ করছে। আবার সমালোচনাও করছেন কেউ কেউ। কারোর কারোর মত যে এই মিঠাই ধারাবাহিক স্টার জলসার খড়কুটো ধারাবাহিকের নকল। এবং সেই জন্যেই এর এত জনপ্রিয়তা। কিন্তু বাস্তবে কি তাই?

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মিঠাই ধারাবাহিকের পরিচালক ও গল্পের নায়িকা সৌমিতৃষা কুণ্ডু এই ব্যাপারে মোক্ষম জবাব দিলেন। প্রথমেই আসি পরিচালকের কথায়। ‘স্লট লিডার’ মিঠাই এর প্রসঙ্গে পরিচালক রাজেন্দ্রপ্রসাদ দাস জানান যে ‘খড়কুটো’ দেখে মিঠাই তৈরি হয়েছে— এই কথাটি তিনিও একাধিকবার শুনেছেন। কেন এ কথা উঠছে তিনি নিজেও জানেন না। একমাত্র দাম্পত্য খুনসুটি ছাড়া তিনি এর মধ্যে কোনও মিল খুঁজে পাননি। তাঁর দাবি, ‘মিঠাই’-এর মধ্যে সেরা হওয়ার আরও অনেক উপাদান আছে। যেমন, পারিবারিক গল্প, দুই বিপরীত মেরুর মানুষের বিয়ে, দাম্পত্য প্রেম, প্রত্যেক অভিনেতার জীবন্ত অভিনয় এবং প্রতিটি চরিত্রের বাস্তবতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এই ধারাবাহিকের ইউএসপি।

এদিকে মিঠাই ওরফে সৌমিতৃষা কুণ্ডু নিজেও পরিচালকের কথায় বিশ্বাসী, এবং তিনি জানান যে ‘মোহর’ আর ‘মিঠাই’-এর সম্প্রচারণ সময় এক ছিল। তাই একটা সময় পর্যন্ত ‘মোহর’ তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। তিনি আরো বলেন যে একই গল্প ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরিবেশন করা হয়। তার মানে এই নয়, একে অন্যকে অনুসরণ বা অনুকরণ করছে।

Related Articles