অভিনয় আজ শুধু নেশা নয় পেশাও, ফেডারেশনকে কড়ায়-গন্ডায় বুঝিয়ে দিলেন গদাধর
কথায় আছে পেটে খেলে পিঠে সয়। আর যদি ভাড়ার ঘর শূন্য থাকে তবে রোজগার হবে কি করে? আর ডাল ভাত কিভাবে জুটবে? এই লক ডাউন শুধু যে সমাজের নিম্ন শ্রেণীর মানুষদের মনের মধ্যে আশঙ্কা, চিন্তা, ভয় তৈরি করেছে এমনটা নয়, যারা তথাকথিত বড়লোক বা সমাজের উচ্চ শ্রেণীর মানুষ অর্থাৎ গ্ল্যামারাস জগতের সঙ্গে যুক্ত তাদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে দুশ্চিন্তা। সম্প্রতি টলিউডের ভাড়ার ঘর একেবারে শূন্য। বিরোধ বেঁধেছে আর্টিস্ট ফোরাম এবং ফেডারেশনের সঙ্গে।
শ্যুট ফ্রম হোম এখন শুরু হতে চলেছে। টলি পাড়ার কলাকুশলীরা বাড়ি থেকেই কাজ করতে চাইছেন। হচ্ছেও কিছু কিছু শ্যুটিং বাড়ি থেকে। এর মধ্যে ফেডারেশন বলতে চাইছে এই ভাবে শ্যুটিং হলে অন্যান্য টেকনিশিয়ান, মেক আপ আর্টিস্ট এরা কাজ হারাবে এবং এদের রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে। হ্যাঁ, সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছে, যেখানে বলা আছে, বাড়ি থেকে শ্যুট করা হলে সেই ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীরাও তাঁদের ন্যায্য পারিশ্রমিক পাবেন। ফেডারেশনের বক্তব্য, বাড়ি থেকে শ্যুট করা হলে শুধু অভিনেতা এবং প্রযোজকের ঘরেই টাকা আসবে। কলাকুশলীরা কিছুই পাবেন না। কারণ শ্যুট ফ্রম হোম করলে মেক আপ আর্টিস্ট, বা অন্যান্য টেকনিশিয়ানদের প্রয়োজন পড়বে না, ফলে তারা উপার্জন থেকে বঞ্চিত হবেন।
সম্প্রতি এমন কঠিন বিরোধ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন পর্দার রামকৃষ্ণ। বর্তমানে সৌরভ সাহা ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ। করুণাময়ী রাণী রাসমণি ধারাবাহিকে তিনি অন্যতম চরিত্র পালন করছেন। এক্ষেত্রে, তার বক্তব্য শ্যুট ফ্রম হোম করতে দেওয়া উচিত এবং এই নিয়ে বিরোধ হওয়া ঠিক নয়, বরং একসঙ্গে বসে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসা উচিত।
সৌরভ স্পষ্ট করেই বলেন, অভিনয় একটা সময় তার প্যাশন ছিল, কিন্তু এখন তা পেশা বটে। এই দিয়েই খান এবং সংসার চালান। এবং এই রুটিন শুধু তার নয়, অনেকের। অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীর অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। তাই কাজ বন্ধ হলে রোজের রুটি রুজি নিয়ে চিন্তা হবে এবং মানুষ বিনোদন থেকে বঞ্চিত হবেন। অভিনেতা সৌরভ সাহার কলমে, “ফেডারেশন বা ফোরাম কারও বিপক্ষে দাঁড়িয়ে নেই আমি। সবাই আমাদের মাথায় ছাতা ধরেছেন। কিন্তু কঠিন সময়ে বিরোধে না নেমে এক জোট হয়ে সমাধান খুঁজে বার করা দরকার। ” সৌরভের প্রশ্ন ফেডারেশন এবং আর্টিস্ট ফোরামের কাছে, “সমস্ত কলাকুশলীদের কথা ভাবতে ভাবতে কোথাও গিয়ে প্রতিহিংসা পরায়ণের মতো কাজ হয়ে যাচ্ছে না তো? কোনও ১০ জন কাজ করতে না পারলে বাকি ১০ জনকেও কাজ করতে দেব না। এ রকম ভাবনা কি এই সময়ের উপযোগী?”