আগামীকাল 10 ই জুন নিকটবর্তী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘চিনে বাদাম’। কিন্তু তার আগে চূড়ান্ত আনপ্রফেশনাল কাজ করলেন যশ দাশগুপ্ত (Yash Dasgupta)। টিম ‘চিনে বাদাম’-এর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন তিনি। ফিল্ম মুক্তির মাত্র কিছুদিন আগে যশের এই আচরণে কার্যতঃ অথৈ জলে জারেকের কর্ণধার এণা সাহা (Ena Saha) ও ‘চিনে বাদাম’-এর পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক (Shiladitya Moulik)।
রবিবার, 5 ই জুন হঠাৎই যশ টুইট করে জানিয়েছিলেন, তাঁর সাথে প্রযোজক ও পরিচালকের ক্রিয়েটিভ ডিফারেন্সের কারণেই তিনি সরে যাচ্ছেন ফিল্মের প্রচার থেকে। কিন্তু এরপর প্রযোজনা সংস্থার তরফে যশের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় অত্যন্ত হতাশ ও আতঙ্কিত এণা জানিয়েছেন, টুইট করার পর যশ নিজেও এখনও তাঁদের সাথে যোগাযোগ করেননি। কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না এণা। প্রসঙ্গত, তিনি ‘চিনে বাদাম’-এর নায়িকা। এণা জানালেন, ফিল্মের প্রতিটি ক্ষেত্রে যশকে জানিয়ে সব কিছু করা হয়েছে। জারেকের সাথে পরপর তিনটি ফিল্মে কাজ করেছেন যশ। শিলাদিত্যর পরিচালনায় দুটি ফিল্মে অভিনয় করেছেন তিনি। তারপর এই ক্রিয়েটিভ ডিফারেন্সের তত্ত্ব অবাক করেছে এণাকে।
তবে এণা জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, 10 ই জুন প্রেক্ষাগৃহে রিলিজ করছে ‘চিনে বাদাম’। এই ফিল্মটি একটি বিগ বাজেট ফিল্ম হওয়ার কারণে নিজের পরিকল্পনা থেকে সরতে চান না এণা। এণা বলেছেন, যশের প্রতি তাঁর কোনো রাগ নেই। তিনি এখনও যশকে সম্মান করেন। 3 রা জুন যশের সাথে তাঁর শেষবার দেখা হয়েছিল। শেষ প্রচারেও ছিলেন না যশ। এণা ও শিলাদিত্য মিলেই প্রচার সেরেছেন। এমনকি প্রচারের আগেই যশের সব পেমেন্টও ক্লিয়ার করে দিয়েছে জারেক। কিন্তু ফিল্ম মুক্তির চারদিন আগে যশের সরে যাওয়ায় শকড এণা। তবে যশ তাঁকে একটি মেসেজ করে ‘বেস্ট অফ লাক’ জানিয়েছেন।
স্বাভাবিক ভাবেই পরিচালক হিসাবে হতাশ শিলাদিত্যও। তিনি জানিয়েছেন, ঝাঁ চকচকে লোক নিয়ে ফিল্ম না বানানোর ফলে প্রথম থেকে আপত্তি থাকলেও যশ কিন্তু চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। ট্রেলার লঞ্চ হওয়ার পর যশের পছন্দ হয়নি। কালো ছেলেকে দিয়ে ফিল্মে কেন নাচ করানো হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যশ। যশ বোধহয় এখনও মধ্যযুগে পড়ে আছেন যেখানে ছিল বর্ণবৈষম্য। একবিংশ শতকে এসে এই ধরনের আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়।
View this post on Instagram