টানা এক মাস ধরে চরম চর্চায় ছিলেন সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান। পিতৃ পরিচয় ছাড়াই সন্তান প্রসব করতে চলেছেন। বিয়ে অস্বীকার করে প্রথম থেকেই সংবাদের শিরোনামে আসেন নুসরত জাহান, এরপর তার অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন জাগে। কার সন্তান তিনি বহন করছেন এই ব্যাপারে এখনও মুখ খোলেননি অভিনেত্রী।
নুসরতের অনুরাগীদের ধারণা নুসরত জাহান গোপনে যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে প্রেম করছেন এবং এই অনাগত সন্তানের বাবা যশ নিজেই। যদিও যশ এই ব্যাপারে কোনো উচ্চ করেননি এখনও পর্যন্ত। নির্বাক যশ ও নুসরত দুজনেই।
এই জুটি নির্বাক হলেও দর্শকরা বিস্ফোরক। ইতিমধ্যে নুসরতের বিবৃতি ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ে সমালোচনা শুরু। বহু মানুষের দাবী, নুসরত অনৈতিক স্টেপ নিয়েছেন এবং বিয়ে নামক পবিত্র রীতিকে সহবাস বলে অপমান করেছেন। এবং প্রেগন্যান্সি লুকিতেছেন। যদিও কিছুদিন আগে নুসরতের প্রেগন্যান্সির ছবি ভাইরাল হয়।
View this post on Instagram
এবারে নিজেই নিজের বেবী বাম্পের ছবি পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। নুসরতের পরনে হালকা শীতের পোশাক, নিচে জেগিনস টাইপের জিন্স, খোলা চুল, ঠোঁটে হাসি। ছবি দেখে স্পষ্ট যে নুসরত এক মাসের প্রেগন্যান্ট নন। এই ছবি কোনো শীতের জায়গায় তোলা বা গত শীতের মধ্যেই সন্তানসম্ভবা হন তিনি। প্রসঙ্গত, এই ছবি ঘিরে বহু মানুষ একটাই প্রশ্ন করেছেন যে এই বাচ্চার বাবা কে? কিছু মানুষ উত্তর দিয়েছেন মার্জিত ভাবে যে একদম জিজ্ঞেস করবেন না, এটা বলা যাবে না। কেউ লিখেছেন সি বি আই ডাকতে হতে পারে। পুরো কমেন্ট সেকশন জুড়ে শুধুই প্রশ্ন আর ব্যঙ্গাত্মক উত্তর। অবশ্য, নুসরতের এসব ব্যাপারে কিছু যায় আসে না, তিনি এই কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পেয়েছেন গুরু গৌড় গোপাল দাসের থেকে। এই গুরুদেবের একটি ভিডিও ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেন নুসরত, যার অর্থ হল, ‘জীবন কখনওই সহজ নয়। জীবনকে সহজ করে নিতে হয়। কখনও কিছু জিনিসের সঠিক পরিবর্তন ঘটিয়ে, আবার কখনও কয়েকটি জিনিস এড়িয়ে গিয়ে তা করা সম্ভব।’ নুসরতের পাশাপাশি যশ দাশগুপ্ত সুফি কবি রুমির আশ্রয় নিলেন। এদিন ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দিলেন নতুন বার্তা। বলতে চাইলেন, ‘যা তোমাকে কষ্ট দেয়, সেটা আসলে আশীর্বাদ। অন্ধকার তোমার মোমবাতি। আপনার সীমানা তোমার সন্ধান। ব্যর্থতা এর মধ্যেই রয়েছে সাম্রাজ্যের চাবিকাঠি। যদি উদ্বিগ্ন হও তাহলে ধৈর্য ধরো। ধৈর্যের চাবি খুশির দরজা খুলে দেয়। তুমি মনে করো তুমিই দরজার তালা হয়ে দাঁড়িয়েছ, তবে জানবে সেই তুমিই আবার চাবি হয়ে উঠবে।”