whatsapp channel
Hoop Food

ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য নিরামিষ চাল কুমড়োর পাতুরি বানানোর রেসিপি

চাল কুমড়ো শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী একটি সবজি। শরীরের পজিটিভ এনার্জি বাড়ানোর জন্য চাল কুমড়ো খেতে পারেন। প্রতিদিন সকালবেলা উঠে এক গ্লাস চাল কুমড়োর রস খেতে পারলে শরীরের সমস্ত সমস্যা এক নিমেষের মধ্যে দূর হয়ে যাবে। ত্বকের সমস্যা থেকে শুরু করে পেটের সমস্যা সমস্ত সমস্যার সমাধান হয় চালকুমড়ো। চলুন আজকে দেখে নেওয়া যাক অসাধারণ একটি নিরামিষ চাল কুমড়োর রেসিপি।

উপকরণ -»
একটি ছোট আকারের চাল কুমড়ো
সরষে বাটা ৩ টেবিল চামচ
পোস্ত বাটা ৩ টেবিল চামচ
চারমগজ বাটা ২ টেবিল চামচ
হলুদ সামান্য
কাঁচা লঙ্কা বাটা স্বাদমতো
কেটে রাখা কলাপাতার টুকরো
চিরে রাখা কাঁচা লঙ্কা
সরষের তেল ১ কাপ
নুন স্বাদমতো

প্রণালী -»

চাল কুমড়োর প্রথমে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ভালো করে কেটে নিতে হবে তবে এক্ষেত্রে প্রথমে গোল করে কেটে তারপর মাঝখান থেকে হাফ কেটে নিতে হবে। তবে কেটে রাখা অংশগুলো যেন খুব পাতলা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এরপর একেকটা অর্ধবৃত্তাকার অংশ নিয়ে মাঝখান থেকে খানিকটা পকেটের মতন করে নিতে হবে। ছুরির সাহায্যে খুব সাবধানে কাটতে হবে। এরপর একটি পাত্রের মধ্যে সরষে বাটা, পোস্ত বাটা, চারমগজ বাটা, হলুদ গুঁড়ো, কাঁচা লঙ্কা বাটা এবং সরষের তেল ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। নুন দিয়ে ভালো করে মেশানোর পর চামচ এর মধ্যে করে নিয়ে এই মিশ্রণটি চাল কুমড়োর কেটে রাখা অংশের পকেটের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে।

এরপর একটি কলাপাতা নিতে হবে। তবে কলাপাতা গুলিকে আগে থেকেই আগুনের সামান্য পুড়িয়ে রাখতে হবে। এরপর সামান্য সরষের তেল কলাপাতায় মাখিয়ে নিতে হবে। কলাপাতার মধ্যে একটি করে পুর ভরা চাল কুমড়ো দিয়ে সামান্য পোস্ত সরষের মিশ্রন মাখিয়ে, সামান্য তেল দিয়ে সুতো দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। এরপর একটি ফ্রাইং প্যানে সামান্য সরষের তেল ব্রাশ করে এই কলা পাতায় মোড়া চাল কুমড়ো দিয়ে দিতে হবে। ঢিমে আঁচে এপিঠ-ওপিঠ করে নাড়িয়ে চাড়িয়ে ভেজে নিতে হবে। পনেরো-কুড়ি মিনিট এমনভাবে ভেজে নেওয়ার পর গরম গরম পরিবেশন করুন ‘নিরামিষ চাল কুমড়োর পাতুরি’।

whatsapp logo