সেই ২০০৪ থেকে সোনি এন্টারটেনমেন্ট টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হচ্ছে ইন্ডিয়ান আইডল, জনপ্রিয়তা দিয়েই শুরু হয় এই গানের রিয়্যালিটি শো। তবে যেমন জনপ্রিয়তা ছিল তেমনই ছিল বিতর্ক। এখনও সেই বিতর্ক চলছে পুরোদমে।
ইতিমধ্যে সঙ্গীত শিল্পী সোনা মহাপাত্র থেকে শ্বেতা পণ্ডিত এবং সেলিম মার্চেন্ট প্রত্যেকেই এই শো নিয়ে মন্তব্য করেছেন। কয়েকদিন আগেই সোনা মহাপাত্র তিরস্কারের সুরে অনু মালিকের বরখাস্ত করার দাবী জানান। যৌন হেনস্তার অভিযোগ করে সোনা মহাপাত্র বলেছেন, ‘লোকটি বিকৃত মানসিকতার।’ এমনকি তিনি মনে করেন এই শোয়ের জঞ্জাল হলেন অনু মালিক।
সোনা ছাড়াও সঙ্গীত শিল্পী শ্বেতা পণ্ডিত অণু মালিকের বিরুদ্ধে টুইটারে অভিযোগ করেন, ‘অণু মালিক একজন শিশু যৌন নিগ্রহকারী৷ আমার যখন ১৫ বছর বয়স, তখন আমায় যৌন হেনস্থা করেন অণু মালিক৷ উনি আমার শরীরের বিভিন্ন খাঁজে হাত দিয়েছিল৷’ এখানেই শেষ নয়, একটা সময় নেহা ভাসিন ট্যুইট করে জানান, ‘তখন খুব স্ট্রাগল করছিলাম। আমার বয়স ছিল ২১। এক স্টুডিওতে আমার গানের একটি সিডি তাঁকে দিতে গিয়েছিলাম, যদি গান শুনে তিনি একটু সুযোগ দেন। তখন অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। আমার সামনে সোফায় শুয়ে তিনি যে ধরনের কথা বলছিলেন, তাতে আমি অস্বস্তি বোধ করেছিলাম। তিনি আমার চোখ নিয়ে নানান কু মন্তব্য করেন। তখন তাঁর সামনে থেকে রীতিমতো আমাকে পালাতে হয়েছিল।’ এছাড়াও তিনি আরও জানান যে অনু মালিক নাকি মাঝে মধ্যেই মেসেজ করতেন এবং ফোন করতেন, কিন্তু তিনি কোনো উত্তরই দেননি।
View this post on Instagram
এবারে আসরে নামলেন আদিত্য নারায়ণ। এদিন আদিত্য বলেন, “আমরা বড় কিছুর প্ল্যানেই রয়েছি। আমরা খুশি এই মুহূর্তে আমি মুম্বইতেই শুট করছি। হ্যাঁ বিধিনিষেধ রয়েছে ঠিকই। কিন্তু তাও ফাইনালে কিছু একটা ধামাকা করার চেষ্টা করছি আমরা।” এছাড়াও, নিজের একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে আদিত্য লেখেন, “অনেকে লোক অনেক কিছু বলবে, মানুষের কাজ হল বিভিন্ন ব্যাপার নিয়ে কথা বলে, এবং নেগেটিভিটিকে পাত্তা না দিয়ে ভাল জিনিসকে নিয়েই ভাবতে চাই আমরা।”