বিরাট-অনুষ্কার বডিগার্ড প্রকাশের এক বছরের বেতন সাধারণ ভারতীয়র সারাজীবনের রোজগার
বলিউড ও হলিউডের অধিকাংশ সেলিব্রিটিদের বডিগার্ড রয়েছে। বিরাট কোহলি (virat kohli) ও অনুষ্কা শর্মা (Anushka sharma) -ও তার ব্যতিক্রম নন। তাঁদের সবসময়ই ঘিরে থাকেন বডিগার্ডরা। কিন্তু বডিগার্ড রাখতে গেলে ব্যয়ও রয়েছে যথেষ্ট।
বিরাট-অনুষ্কার চিফ বডিগার্ড প্রকাশ সিং (prakash singh) ওরফে সোনুর বার্ষিক মাইনে হল প্রায় ১.২ কোটি টাকা অর্থাৎ মাসে ১০ লক্ষ টাকা। প্রশ্ন উঠতেই পারে একজন বডিগার্ডের কেন এত মাইনে? প্রথমত: এই বডিগার্ডরা আসেন বিখ্যাত সিকিউরিটি এজেন্সি থেকে। এই এজেন্সি থেকে সাধারণতঃ তারকাদের বডিগার্ড ও বাউন্সার সরবরাহ করা হয়। এইসব বডিগার্ড ও বাউন্সারদের রীতিমতো ট্রেনিং প্রাপ্ত হতে হয় এবং ফিট থাকতে হয়। যেহেতু তাঁরা এই এজেন্সিগুলির থেকে কাজ পান, সুতরাং এজেন্সিগুলির একটি কমিশন থাকে। ফলে সেলিব্রিটি বডিগার্ডদের মানের বেশ কিছুটা অংশ দিয়ে দিতে হয় এজেন্সিগুলিকে। এই টাকাতেই এজেন্সিগুলির শ্রীবৃদ্ধি হয়। তাঁদের অফিসিয়াল কাজকর্মেও এই টাকা ব্যবহৃত হয়। এজেন্সিগুলির নিজস্ব কিছু উন্নত সিকিউরিটি সার্ভিস থাকে। এইধরনের এজেন্সিগুলি কিন্তু আইনত।
এদের প্রোভাইড করা সিকিউরিটি গার্ডরাও বিশ্বস্ত হন। যদি সমীক্ষা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে, তারকাদের যতগুণ বার্ষিক আয়, তার অনেকটাই কম কিন্তু তাঁদের বডিগার্ডদের মাইনে। এইসব বডিগার্ডরা প্রয়োজনে প্রাণ বিসর্জন দিয়ে তারকাদের রক্ষা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকেন। কিন্তু বহু বছর একই তারকার কাছে কাজ করতে করতে তাঁদের পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠেন বডিগার্ডরা। বিরাট-অনুষ্কার সঙ্গেও প্রকাশের সম্পর্ক পারিবারিক হয়ে উঠেছে। প্রতি বছর প্রকাশের জন্মদিন পালন করেন বিরুষ্কা। অনুষ্কার মা হওয়ার সময় ও কোভিড পরিস্থিতিতে পিপিই কিট পরে একা হাতে ভিড় সামলেছেন প্রকাশ।
হয়তো অনেকেই বলবেন, তাহলে এইসব বডিগার্ডরা তারকাদের সিক্রেটও জানেন। একদমই নয়। যতই জন্মদিন পালন করা হোক, তারকারা কিন্তু নিজেদের সিক্রেট কাউকে জানতে দেন না। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে কখনও কখনও চিফ বডিগার্ডদের কিছু সিক্রেট জানাতে হয়। কিন্তু তা চিফ বডিগার্ড অবধি সীমাবদ্ধ থাকে। চিফ বডিগার্ড কৌশলে নিরাপত্তা বেষ্টনীর পুনর্বিন্যাস করেন। এই প্রসঙ্গে জর্ডনের প্রয়াত কিং হুসায়েনের একটি কথা মনে পড়ে যায়, ‘মুকুট আসলে কাঁটা দিয়ে তৈরি’।
View this post on Instagram