কৌশানী-বনির প্রেমের কাহিনি সর্বজনবিদিত। সেইজন্যেই, যখন দুজন প্রথম টলিউডে পা রাখে, করেই ফেলে ‘পারবো না আমি ছাড়তে তোকে’ সিনেমা। তারপর থেকেই এই দুজনের রোম্যান্স হয়ে ওঠে চর্চার বিষয়। এদিকে কৌশানী তৃণমূলের টিকিট পাওয়ার দিন কয়েকের মধ্যেই বিজেপিতে যোগ দেন বনি। অনেকেই চমকে যান। কেন রাজনৈতিক মতভেদে দুজন আলাদা হলেন? এই ব্যাপারে অনেকেই বলেন, রাজনৈতিক আদর্শ ভিন্ন হতেই পারে, এর সঙ্গে প্রেম বা বন্ধুত্বের কোনো অসুবিধা হয় না। প্রেম, বন্ধুত্ব এক জায়গায়, অন্যদিকে রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং কাজ অন্য জায়গায়।
এদিকে এতদিন পর বনি মুখ খুললেন কৌশানী প্রসঙ্গে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে। কী বললেন বনি চলুন জানি।
একুশের নির্বাচনে বনি দাড়ায় বিজেপির হয়ে। কৌশানী দাড়ায় কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হয়ে। যেখানে বিজেপির হয়ে ছিলেন হেভিওয়েট প্রার্থী মুকুল রায়, যিনি পরবর্তীতে জিতে তৃণমূলে যোগ দেন এবং মমতা ব্যানার্জি তাকে সাদরে আমন্ত্রণ জানান।
ওই সাক্ষাৎকারে বনি সেনগুপ্তকে প্রশ্ন করা হয় কৌশানীর হার প্রসঙ্গে। জবাবে বনি জানান,স্বাভাবিকভাবেই খারাপ লেগেছিল। কৌশানী আর সায়নী সব থেকে বেশি খেটেছিল। ওর সঙ্গে উচিত হয়নি! মুকুলদা তৃণমূলে যোগ দেওয়াতেই স্পষ্ট কীভাবে, কেন, কী হয়েছে। ও কঠোর পরিশ্রম করেছিল। অনেকবার শরীর খারাপও হয়। পায়ের অবস্থা কতটা খারাপ ছিল, এই বিষয়গুলো তো আমি জানি।’
বনির কথা অনুযায়ী মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগদান পুরোটাই পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। এদিকে কৌশানী ওই সাক্ষাৎকারে জানান এই প্রসঙ্গে যে দলের সিদ্ধান্তই তার কাছে চূড়ান্ত। তিনি এও বলেছেন যে তার এখনও অনেক কিছু শেখা বাকি। এছাড়াও অভিনেত্রী এই বলেন যে মুকুল রায় এখন তৃণমূলেরই একজন। এখন এটা নিয়ে সমালোচনায় গিয়ে কোনও লাভ নেই।