whatsapp channel

করোনার পাশাপাশি চরম বিপদ! ফেটে দু-টুকরো হয়ে গেল পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র, আতঙ্কে বিজ্ঞানীরা

ফাটল ক্রমশ বেড়েই চলেছে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে। এমনকি ভেঙে দু’টুকরো হয়ে গিয়েছে একটা ফাটল। যার ফলে বিপদ বাড়ছে পৃথিবীর। ভয়ঙ্কর সৌরকণা, সৌর বিকিরণ ও মহাজাগতিক রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব সামলাতে হবে…

Avatar

HoopHaap Digital Media

Advertisements
Advertisements

ফাটল ক্রমশ বেড়েই চলেছে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে। এমনকি ভেঙে দু’টুকরো হয়ে গিয়েছে একটা ফাটল। যার ফলে বিপদ বাড়ছে পৃথিবীর। ভয়ঙ্কর সৌরকণা, সৌর বিকিরণ ও মহাজাগতিক রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব সামলাতে হবে পৃথিবীকে। সম্প্রতি এক রিপোর্টে এমনই জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তাদের আশঙ্কা, এর ফলে ওই এলাকা দিয়ে প্রদক্ষিণরত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন, বিভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহগুলির গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। ব্যাহত হতে পারে ওই এলাকার টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ ও নেভিগেশন ব্যবস্থাও ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

Advertisements

মহাকাশে কয়েক লক্ষ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে পৃথিবীর এই চৌম্বক ক্ষেত্রটি। যা ‘জিওম্যাগনেটিক ফিল্ড’ নামেও পরিচিত। ভয়ঙ্কর সৌর বিকিরণ ও অত্যন্ত বিষাক্ত মহাজাগতিক রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পৃথিবীবাসীকে রক্ষা করে এই চৌম্বক ক্ষেত্র। এই চৌম্বক ক্ষেত্রই পৃথিবীতে এসে পড়া সৌর বিকিরণ ও মহাজাগতিক রশ্মিকে যতটা সম্ভব দূরে ঠেলে সরিয়ে দেয়। নাসা তাদের সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে জানায় যে, গত ৫০ বছর ধরে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে।

Advertisements

প্রসঙ্গত, পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রটি দুর্বল হতে শুরু করে গত শতাব্দীর সাতের দশক থেকেই। তখনই একটি বড়সড় ফাটল দেখা দেয় এই চৌম্বক ক্ষেত্রে। বিজ্ঞানীরা যার নাম দেন- ‘সাউথ আটলান্টিক অ্যানোমালি (এসএএ)’। দক্ষিণ আমেরিকা ও দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের উপরে থাকা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে অবস্থান করছে এই ফাটলটি। যার আকার ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এমনকি, ফাটলটি ভেঙে দু’টুকরো হয়ে গিয়েছে বলেও জানান বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও আরও দু’টি বড় বড় ফাটল তৈরি হয়েছে বলে দাবি নাসার।

Advertisements
whatsapp logo
Advertisements
Avatar
HoopHaap Digital Media