সাত পাকে বাঁধা পড়লেন গদাই ঠাকুরের ভাগ্নে হৃদে, বৌভাতে নিমন্ত্রিত স্বয়ং রাণীমা
গদাই ঠাকুরের অন্যতম সঙ্গী হলেন তার ভাগ্নে হৃদে। মামা-ভাগ্নে জুটিতে মিলেই মন্দির সামলাতেন। মামার সুখে দুঃখে সবসময় সাক্ষী হিসেবে থাকে এই হৃদে। গদাই ঠাকুরের ধূমধাম করে বিয়ে হয়ে গেল, ভাগ্নে তো একা থাকতে পারেন না, তাই সেও চার হাত এক করে নেয়। হ্যাঁ, বিয়ে করলেন করুণাময়ী রাণী রাসমণি ধারাবাহিকের হৃদে ওরফে অভিনেতা সিদ্ধার্থ ঘোষ।
ছোট পর্দায় পরিচিত মুখ সিদ্ধার্থ। গদাই ঠাকুরের সে এক্কেবারে ছায়াসঙ্গী। পর্দার রামকৃষ্ণের পাশাপাশি ভাগ্নের ভূমিকায় সিদ্ধার্থের অভিনয়ও খুব প্রশংসিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সাতপাকে বাঁধা পড়লেন পর্দার এই ভাগ্নে হৃদে। নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করতে উপস্থিত ছিলেন খোদ ‘রামকৃষ্ণ’, অর্থাৎ অভিনেতা সৌরভ সাহা। ছিলেন অভিনেতা পরাণ বন্দোপা ধ্যায়।
পাত্র না হয় বুঝলেন, ভাবছেন পাত্রী কে? কার গলায় মালা দিলেন ভাগ্নে? পাত্রী হলেন, সঙ্গীতশিল্পী দেবতৃষা সেনগুপ্ত। ইনি বেশ কিছু বাংলা ছবিতে গান করেছেন। ভগ্নেবৌ লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন থেকে দূরেই আছেন। এদিকে সিদ্ধার্থ রাসমণি ধারাবাহিক ছাড়াও ‘দত্ত এন্ড বৌমা’ তেও অভিনয় করেছেন। এমনকি পরাণ বন্দোপাধ্যায়ের নাটকের দলে রীতিমতো নাট্যচর্চাও করেন।
সিদ্ধার্থ-দেবতৃষা তাদের বিয়ে ঘরোয়া আয়োজনে করলেও বৌভাতের অনুষ্ঠান একটু বড় করেই করবেন। টলি পাড়ার অনেককেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এমনকি ওইদিন উপস্থিত থাকবেন খোদ রাণীমা ওরফে দিতিপ্রিয়া। যদিও পর্দার রাণীমার হাতে এখন অনেক কাজ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি কাজে শ্যুট করবেন, এরপরেও তাকে দেখা যেতে পারে সিদ্ধার্থ ও দেবতৃষার বৌভাতের অনুষ্ঠানে। শত হলেও সদ্য রাণীমার শ্যুটিং ফ্লোর থেকে বিদায় নিয়েছেন দিতিপ্রিয়া।