রাতে শোওয়ার সময় বালিশের তলায় রেখে দিন এই ছোট্ট উপাদান, ফল হবে ম্যাজিকের মতো
বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যেকেই নানান রকম অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কারো চাকরী চলে গেছে কারণ বা প্রমোশন আটকে গেছে। সংসারে অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আর অর্থনৈতিক সংকট বেড়ে চলেছে তো মানুষের মধ্যে নানান রকমের সমস্যা শারীরিক-মানসিক ইত্যাদি দেখা দিচ্ছে। আপনারা যদি শনিদেবের কুদৃষ্টি থেকে বাঁচতে চান, শনিদেবের কৃপা দৃষ্টি পেতে চান, তাহলে শনিবার দিন আপনারা রাত্রিবেলা অবশ্যই বালিশের নিচে একটি জিনিস রেখে দিন। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা, শনিদেবের কুদৃষ্টির ফলে আমাদের নানান রকম সমস্যা হতে পারে অর্থনৈতিক সমস্যা হতে পারে, শনিদেব কালো রং পছন্দ করেন, তাই প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কালো-পাখি অর্থাৎ আমাদের সামনে কালো পাখি বলতে কাক রয়েছে, কাককে খেতে দিন।
শনিদেব কে সবচেয়ে নিষ্ঠুর দেবতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শনিদেব সমস্ত ব্যক্তিদের কৃতকর্মের খোঁজ রাখে। তাদের কর্ম অনুসারে ফল দেয়। তবে কখনই তিনি নিষ্ঠুর দেবতা নন। তিনি আমাদের আমার আপনার কর্ম অনুযায়ী ফল দেয়। আপনি যদি কখনো অন্যায় কাজ করে থাকেন, সেই অন্যায় কাজের শাস্তি আপনাকে শনিদেব দেবে। তাই শনিদেবের কৃপা দৃষ্টি কে বজায় রাখার জন্য এবং উল্টো দিকে তার ক্রোধ এড়াবার জন্য শনিবারে তার উপাসনা করা উচিত।
শনিবার এবং মঙ্গলবার হনুমানজির পুজা অবশ্যই করবেন। তার পাশাপাশি অবশ্যই করবেন আর শনিবার মঙ্গলবার এবং শনিবার দুই দিন আপনারা যারা হনুমান চালিশা পাঠ করতে পারেন তারা হনুমান চালিশা পাঠ করবেন। যারা পারেন না তারা অন্ততপক্ষে জয় বজরং বলি কি জয়, জয় শ্রী রাম জয় হনুমান মন্ত্র ১০৮ বার জপ করবেন। কোন ব্যক্তির জীবনের পরের দোষ কাটানোর জন্য সেই ব্যক্তির প্রত্যেক শনিবারের শনি দেবের মন্দিরে গিয়ে সরিষা অর্থাৎ সরষে এবং কালো তিল দান করা উচিত।
এছাড়াও শনিদেবের কৃপা দৃষ্টি অর্জন করার জন্য দরিদ্র অসহায় মানুষদেরকে কালো রংয়ের কম্বল দান করবেন। যদি এটি করতে পারেন এতে অত্যন্ত খুশি হবেন। আপনার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট হবে। আর তার কৃপাদৃষ্টি বর্ষন হবে। আপনার ওপর তখন আপনার জীবন আরো সুন্দর সুখময় ও মসৃন হয়ে যাবে। এছাড়া যদি বালিশের তলাতে চাদরের তলায় অথবা বালিশের তলাতেও রাখতে পারেন তিনটি লবঙ্গ যেন ফুলটা থাকে। নষ্ট হয়ে যাওয়া লবঙ্গ চলবে না আপনারা একবারে গোটা ভালো লবঙ্গ নেবেন। প্রথমে আপনাকে শনিদেবের কোন মন্দিরে গিয়ে বা তা যদি সম্ভব না হয় আপনার বাড়ির ঠাকুর ঘরেতেই শনিদেবের নাম স্মরণ করে, তার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে এই লবঙ্গ দেবেন। ছবি বা মূর্তি থাকে তার সামনে বসেও তার আরাধনা করবেন, তাকেও নিবেদন করবেন। এই তিনটি লবঙ্গ আর শনিদেব কে অনুসরণ করবেন।