৬ ফুট লম্বা, বলিষ্ঠ শরীর, অবিবাহিত, অ্যাংরি ইয়ং ম্যান- এই কয়েকটি বৈশিষ্ট্যই প্রয়াত সিদ্ধার্থ শুক্লার জন্য যথেষ্ট। অথচ মাত্র ৪০ এই হৃদপিন্ড জবাব দিয়ে দিল। আজ বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২ রা সেপ্টেম্বর চিরতরে বিদায় নিলেন তিনি। ফেলে গেলেন মা ও দুই বোনকে। চলুন একবার তার জীবনের অলিগলি ঘুরে আসি।
জীবনের প্রথম দিকে মডেলিং করতেন সিদ্ধার্থ। একাধিক পুরস্কার জিতেছেন তিনি। মুম্বইয়ের সেন্ট জাভিয়ার্স হাই স্কুল থেকে তার স্কুল পড়াশোনা। এরপর রচনা সংসদ স্কুল অফ ইন্টিরিয়র ডিজাইন থেকে ইন্টেরিয়র ডিজাইন নিয়ে পড়াশুনো। ছোটবেলায় টেনিস এবং ফুটবল খেলায় বিশেষ মন ছিল, কিন্তু তিনি আসেন গ্ল্যামার জগতে।
২০০৮ সালে হিন্দি ধারাবাহিক ‘বাবুল কা অঙ্গন ছুটে নায়’ অভিনয়ের মাধ্যমে টেলিভিশন জগতে পা রাখেন সিদ্ধার্থ শুক্লা। পরিচিতি পান তখন থেকে। তারপর, তাকে দেখা যায় ‘লাভ ইউ জিন্দেগী’, ‘বালিকা বধু’ এবং ‘দিল সে দিল তাকে’র মতো ধারাবাহিকের মূল চরিত্রে।
২০১৪ সালে তার জীবনে দুটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে। প্রথমত, ওই বছর তিনি মদ্যপ অবস্থায় রাস্তায় গাড়ি চালানো এবং অ্যাক্সিডেন্টের জন্য মামলার মুখোমুখি হন এবং সেইসময় তার ড্রাইভিং লাইসেন্স রদ করা হয়। এবার ওই বছরেই তিনি ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহনিয়া’য় অঙ্গদ নামে একটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক করেন।
এরপর বিগ বস সিজনে অংশগ্রহণ, জয়ী হওয়া। এমনকি ফিয়ার ফ্যাক্টর: খাত্রোঁ কে খিলাড়ি ৭ এ অংশ নেওয়া, এবং শিরোপা জয়লাভ করা ও ঝলক দিখলা যা ৬ এ অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে বহু রিয়্যালিটি শোতে তাকে দেখা যায় প্রতিযোগী হিসেবে। সম্প্রতি একটি নাচের রিয়্যালিটি শোতে এসেও মঞ্চে গ্ল্যামার বাড়ান সিদ্ধার্থ ও শেহনাজ।
কিন্তু, কি এমন হল যে রাতে ওষুধ খেয়ে ঘুম, এরপর বুকে ব্যথা, হসপিটাল এবং মৃত্যু। চিকিৎসার সাময়িক সুযোগ পর্যন্ত দেননি সিদ্ধার্থ। অকালে চলে গেলেন তিনি।