‘দিদি নং ১’-এর মঞ্চে সম্পর্ক ভাঙার কথা স্বীকার করলেন শ্রীমা, রইল ভিডিও
চলতি বছরেই ভেঙে গেছে গৌরব রায়চৌধুরী (Gaurav Roychowdhury)-র সঙ্গে শ্রীমা (Shreema Bhattacharya)-র সম্পর্ক। প্রাক্তন প্রেমিকের অসুস্থতার খবর পেয়ে বারবার ফোন করলেও ফোন ধরেননি গৌরব। অপরদিকে সায়ন্ত মোদক (Sayanta Modak)-এর সাথে তাঁর সম্পর্কের কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যেও শ্রীমা নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ‘দিদি নং 1′-এসে রচনা (Rachana Banerjee)-র সঙ্গে নিজের ভালো থাকার সিক্রেট শেয়ার করলেন তিনি।
প্রথমেই শ্রীমা “জীবন মানে তো জি বাংলা” বলে নজর কেড়ে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, নতুন কাজ নিয়ে মেতে আছেন তিনি। অবসর সময় পেলে পরিবারের সঙ্গে কাটাচ্ছেন। কখনও নিজে একাই বেড়াতে চলে যাচ্ছেন। নিজেকে নিয়ে নতুন করে ভাবছেন শ্রীমা। তাঁর সমস্যার সমাধান রচনাকেই করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। একসময় তিনি রচনা তাঁর মনের মানুষের কথা বলেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে শ্রীমা বুঝতে পেরেছেন, জীবনে কাউকে ধরে রাখা যায় না। যে যাবার থাকে, সে চলে যায়। জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে ইতিবাচক করে তুলতে চান শ্রীমা।
রচনা বললেন, পৃথিবীতে শ্রীমার ভালোবাসার মানুষরা তাঁর চারপাশ জুড়ে রয়েছেন। সুতরাং একজন না থাকলে কিছু এসে যায় না। কিন্তু নিজের মেকওভার করতে গিয়ে আরেকটু হলে ত্যাজ্যকন্যা হয়ে যাচ্ছিলেন শ্রীমা। কিন্তু চুলের লেংথে আকাশি রঙের কালার করে আসার পর তাঁর মা তাঁকে বলেছিলেন, পাখনা লাগিয়ে ময়ূরের মতো উড়ে যেতে। ময়ূর কিন্তু ওড়ে না, পেখম মেলে নাচ করে। যাই হোক, শ্রীমার এই কথা শুনে সকলে হেসে ফেলেছেন। তবে শ্রীমার মা নিজের মেয়েকে খুশি দেখে নিজেও খুশি থাকছেন। শ্রীমা জানালেন, তাঁর বন্ধুরাও তাঁকে ভালো রাখার চেষ্টা করেন।
প্রথম সিরিয়ালে অভিনয়ের সময় থেকেই ঋতজা (Ritaja Majumder) তাঁকে চিত্রনাট্য পড়ে অভিনয় শিখতে অনেক সাহায্য করেছেন বলে জানিয়েছেন শ্রীমা। এদিন শ্রীমা কৃতজ্ঞতাবশতঃ ঋতজার দিকে “লাভ ইউ” বলে ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দেন। তবে রচনা বললেন, দেব-দেবীর চরিত্রে শ্রীমাকে খুব ভালো মানায়। তবে একধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে চান না বলে নিজের মেকওভার করছেন শ্রীমা। তবে দেব-দেবীর চরিত্রে অভিনয়ের কারণে তিনি বাস্তব জীবনে শর্ট স্কার্ট পরলেও সেটা সবার কাছে অবিশ্বাস্য হয়ে যাচ্ছে বলে জানালেন শ্রীমা। তবে ঋতজা ও রচনা দুজনেই শ্রীমাকে শাড়ি পরতে বললেন কারণ শ্রীমার লুকে ওয়েস্টার্ন পোশাকের তুলনায় শাড়ি বেশি ভালো লাগে। তবু এত হাসি-গল্পের মাঝেও মাঝরাতে শ্রীমা যখন একা হয়ে যান, তখন মনে পড়ে জীবনের চড়াই-উতরাই-এর কথা। কষ্ট হয়। কিন্তু তবু পরের দিন সকালে মেকআপ করে শ্রীমা দাঁড়ান ক্যামেরার সামনে। কারণ সেলিব্রিটিদের কাঁদতে নেই।