Bengali SerialHoop Plus

Tiyasha-Suban: খলনায়ক থেকে রাতারাতি নায়ক! তিয়াসার সঙ্গে সম্পর্কের বাঁক বদলের জেরেই মিলল সুফল?

জি বাংলার ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের শ্যামা অর্থাৎ তিয়াসা রায় এবং তাঁর স্বামী সুবান রায়ের বিবাহবিচ্ছেদ হতে পারে এই নিয়ে গুঞ্জন উঠেছিল টেলিপাড়ায়। অনেকে মনে করেন এর কারণ ছিল হয়তো স্ত্রীর অতিরিক্ত জনপ্রিয়তা। স্ত্রীর অনেক আগেই সুবান টলি ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছেন। এখানকার রীতিনীতি, আদব-কায়দা তিনি সহজেই আয়ত্ত করে নিয়েছিলেন। তিয়াসা-কেও একই শিক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। অথচ তিয়াসা তাঁর থেকেও বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন এটি হয়তো তিনি মেনে নিতে পারেননি। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছিলেন, “একসঙ্গে থাকতে গেলে ঠোকাঠুকি তো হবেই। সেটাকে নিয়ে মানুষ যদি এ ধরনের গল্প বানায়, কী আর বলব। অভিনেতা হলে বোধ হয় এ সব সহ্য করতে হয়। প্রেম, বিচ্ছেদের গল্প ছড়াবে। এ সবের সঙ্গে ধাতস্থ হতে আরও একটু সময় লাগবে হয়তো”।

তবে এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিয়াস-কে এর বিপরীতটা বলতেও শোনা গেছে। তিনি বলেছেন, “মাঝেমধ্যে মনে হয় যারা এ সব খবর রটায়, তাদের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ করি। সুবানই তখন আমাকে শান্ত করে। ও বলে এ ধরনের কথা নিয়ে বেশি ভাবনা চিন্তা না করতে। আখেরে তাতে আমাদেরই ক্ষতি। কে কী বলল, এ সব নিয়ে আর ভাবি না। আমাদের নিয়ে যে যা বলছে বলুক, আমরা জানি আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে না।”

সান বাংলায় সম্প্রচারিত ‘সুন্দরী’ ধারাবাহিকে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল সুবান রায়-কে। এই সময় তিয়াসা রায়ের সাথে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের প্রসঙ্গ নিয়েও টানাপোড়েন চলছিল নেটমাধ্যমে। এখন সুবান-কে দেখা যাবে নায়কের চরিত্রে। এন্টারটেন বাংলার নতুন ধারাবাহিকে নায়ক রূপে আত্মপ্রকাশ করছেন তিনি। সেখানে তিনি ধারাবাহিকের নায়ক রুপাইয়ের দাদার চরিত্রে অভিনয় করছেন। এর সাথে আরও জানা গেছে যে, তিনি ছোটপর্দায় ‘ড্রইংরুম ড্রামা’-তেও কাজ করতে চলেছেন। এখানে তাঁর বাবার চরিত্রে অভিনয় করছেন মিলন রায়চৌধুরী এবং মায়ের চরিত্রে রেশমি সেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির আঙ্গনেও দেখা গেছে তিয়াসা-কে। চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মদন মিত্রের সঙ্গে প্রায়ই দেখা গেছে তাঁকে। তৃণমূলকে ভোট দিয়ে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী করার অনুরোধ করেছেন তিনি সকলকে। তিনি বলেছেন, “দিদিকে আমি খুব সম্মান করি। তিনিও আমাকে খুব ভালবেসে ডাকেন। তাই আমি বারবার যাই। মদনদার ক্ষেত্রেও বিষয়টা তাই। উনি বলেন আমি গেলে মানুষ খুশি হবে।” তিনি আরো বলেন, “এই মানুষগুলো যদি তৃণমূল না করে বিজেপি করতেন, আমি তখনও যেতাম। কারণ এঁদের প্রতি আমার অন্য রকম শ্রদ্ধা ও ভাল লাগা আছে।”

Related Articles