Hoop Story

সশরীরে দরকার নেই কোনো পুরুষকে, অনলাইনে শুক্রাণু কিনে গর্ভবতী হলেন এক নারী

অনলাইন মাধ্যমে গর্ভবতী হয়ে সন্তান ধারণ করলেন এক ব্রিটিশ মহিলা। শুনতে অবাক লাগলো তাই না? কিন্তু এটাই সত্যি। আজকের এই ইন্টারনেট-নির্ভর যুগে কোনো কিছুই আর অসম্ভব নয়। এমনকি মা হতে গেলেও কারোর উপর নির্ভর করতে হবে না কোন নারীকে। অনলাইনে স্পাম অর্ডার করে মা হতে পারেন তাঁরা। এই সাহসী পদক্ষেপ নিলেন এক ব্রিটিশ নাগরিক। তাঁর নাম স্টেফনি টেইলার। অনলাইনে পুরুষ শুক্রাণু কিনে দ্বিতীয়বারের জন্য মা হলেন তেত্রিশ বছরের এই যুবতী।

এর আগে তিনি আরও এক সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সেই সন্তানের নাম ফ্রাঙ্কি। এবার দ্বিতীয়বারের জন্য মা হতে চেয়েছিলেন তিনি। এর জেরেই ২০১৯ সাল থেকে এই বিষয়ে গবেষণা করতে শুরু করেন তিনি। দ্বিতীয়বার মা হওয়ার জন্য তিনি কোনোরকম শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে চাননি। এমনকি কোন ফার্টিলিটি সেন্টারের সাহায্যও তিনি নিতে চাননি। সেই সকল ব্যবস্থার খরচ তিনি বহন করতে চাননি। তাই শেষমেষ অনলাইনে শুক্রাণু কিনে ফেলেন এই নারী। দীর্ঘদিন গবেষণার পর তিনি একটি ই-বেবি সেন্টারের খোঁজ পান। সেখান থেকে তিনি জানতে পারেন অনলাইন শুক্রাণু বা স্পার্ম ডোনারের কথা। কোনো ফার্টিলিটি সেন্টারের থেকে এই অনলাইন শুক্রাণুর খরচ খুবই কম। তাই তিনি অর্ডার দিয়ে ফেললেন অনলাইন স্পার্মের।

সেই অর্ডারে শুক্রাণু পাশাপাশি থাকবে একটি কিট, যাতে সন্তান ধারণের সহায়তাকারী বিভিন্ন সরঞ্জাম থাকবে যার নাম ‘ইনসেমিনেশন কিট’। অ্যাপের মাধ্যমে স্পাম ডোনারদের সাথে নিজেই কথা বলেন স্টেফনি। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর কাছে এসে পৌঁছায় সেই স্পার্ম এবং ইনসেমিনেশন কিট। সেই স্পার্ম শরীরে প্রবেশ করানোর জন্য আবারও এক ঝুঁকি নেন তিনি। ইউটিউব দেখে তিনি নিজেই সেই স্পার্ম নিজের শরীরে প্রবেশ করান। প্রথম প্রচেষ্টাতেই সফল হন তিনি এবং গর্ভবতী হন। একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন স্টিফনি। যার নাম রাখেন এডনা। মায়ের দেওয়া উপহার পেয়ে খুব খুশি ৫ বছরের ফ্রাঙ্কি। নিজের জন্য একটি খেলার সাথী পেয়ে আহ্লাদে আটখানা সে। ফ্রাঙ্কির বাবার সাথে তার মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে বহুদিন আগেই ফ্রাঙ্কি এখন তার মায়ের সাথেই থাকে।

স্টেফনির এই সাহসী পদক্ষেপ দেখে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁকে। তবে স্টেফনির ক্ষেত্রে অনলাইনে স্পার্ম কিনে এবং ইনসেমিনেশন কিটের মাধ্যমে সুস্থ কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়া সহজ হলেও সকলের ক্ষেত্রে তা এত সহজ নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে সঠিক পথ অবলম্বন করা অনিবার্য। অত্যন্ত সচেতনতা অবলম্বন করে তবেই এই পদ্ধতিতে এক সুস্থ সন্তানের জন্ম দেওয়া সম্ভব।

Related Articles