Aindrila Sharma: প্রাণের মানুষ আছে পাশে, ঐন্দ্রিলার ‘বায়না’ রাখতে ঠাকুর দেখাতে নিয়ে গেলেন সব্যসাচী
ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) চলতি বছর সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)-কে দিয়ে কড়ার করিয়েছিলেন, এবার তাঁকে ঠাকুর দেখাতে নিয়ে যেতেই হবে। কিছুদিন আগেই কেমো হয়েছে। ঐন্দ্রিলা সাহসী হলেও তাঁকে নিয়ে ভয় পান সব্যসাচী। কিন্তু শেষ অবধি ঐন্দ্রিলার আবদারে রাজি হয়ে তাঁকে যেতেই হল ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে ঠাকুর দেখাতে।
তৃতীয়ার মধ্যরাতে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছিলেন সব্যসাচী। কিন্তু অসুস্থ ঐন্দ্রিলার পক্ষে ভিড় ঠেলে ঠাকুর দেখা সম্ভব নয়। তবু দক্ষিণ কলকাতার দুটি নামী মন্ডপে ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সব্যসাচী তো ভয়ে ভয়েই ছিলেন। মানুষের ভিড়, ব্যারিকেড ও ‘নো পার্কিং’-এর ফলে ঘেমে-নেয়ে হতাশ হয়ে ঐন্দ্রিলা বলেন, বাড়ি নিয়ে যেতে কারণ তিনি ঠাকুরই দেখতে পাচ্ছিলেন না। তবে ফেরার পথে এক অচেনা পাড়ার মোড়ে ছোট্ট একটি মন্ডপে সাবেকি সাজের ঠাকুর দেখতে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলা। সেই ছবি শেয়ার করে সব্যসাচী লিখেছেন, দেবীপ্রতিমাটি আটপৌরে, ঠিক যেন মায়ের মতো। নেটিজেনরাও এই তারকা জুটিকে অনেক ভালোবাসা জানিয়েছেন।
চলতি বছরের সরস্বতী পুজোর দিন তীব্র যন্ত্রণায় কুঁকড়ে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। এরপর তাঁর ক্যান্সার ধরা পড়ে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা ঐন্দ্রিলাকে চিকিৎসার জন্য দিল্লীতে নিয়ে যান। সব্যসাচী তখন ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এ বামাক্ষ্যাপার ভূমিকায় অভিনয় করছেন। তিনি ঐন্দ্রিলার অসুস্থতার খবর পেয়েই দিল্লী রওনা হয়েছিলেন। সেখানে তিনিও ঐন্দ্রিলার পরিবারের সদস্যদের সাথে বেশ কিছুদিন ছিলেন। এই ঘটনার ফলেই সকলের নজরে আসে সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলার সম্পর্ক। এরপর প্রথম কেমো নিয়ে কলকাতায় ফিরে এসে কাজে যোগ দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। ‘জীয়ন কাঠি’ সিরিয়ালে অভিনয় করছিলেন তিনি।
কিন্তু দ্বিতীয়বার কেমো নেওয়ার পর থেকে তাঁর পক্ষে আর অভিনয় করা সম্ভব হয়নি। কারণ কেমো অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। কেমোর পর রোগীকে বিশ্রাম নিতে হয়। তবে ঐন্দ্রিলার অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। শুরু হয়েছে কেমোথেরাপির দ্বিতীয় সাইকেল। দুর্গতিনাশিনী এসেছেন চারিদিক আলো করে। দৃঢ় বিশ্বাস, সুস্থ হয়ে উঠবেন ঐন্দ্রিলা, তাঁর ‘জীয়ন কাঠি’ সব্যসাচীর ছোঁয়ায়।